সোমালিয়ায় দখলদার পশ্চিমাদের গোলাম সরকারি বাহিনীর উপর পৃথক হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে সামরিক বাহিনীর ২০ গাদ্দার নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, তাদের প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি সোমালিয়া জুড়ে প্রায় ৩ ডজনেরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এরমধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্য দিবালোকেই একযোগে রাজধানী মোগাদিশু সহ দেশের ১২টি জেলায় সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। যাদে অসংখ্য ক্রুসেডার ও গাদ্দার সেনা নিহত ও আহত হয়েছে। হামলাগুলো শত্রু বেষ্টিত “নিরাদ” এলাকায় হওয়ায় হতাহতের সঠিক ও বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিন কেন্দ্রীয় শাবেলি রাজ্যে মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণাধিন অঞ্চলে হামলা চালানোর চেষ্টা করে ক্রুসেডার মার্কিন প্রশিক্ষিত ‘দানব’ ফোর্স। এসময় শাবাব মুজাহিদগণ সোমালি বিশেষ এই বাহিনীকে কঠিন হস্তে দমন করেন। ফলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় দানব ফোর্সের ৭ সদস্য, গুরুতর আহত হয় আরও ৬ সেনা সদস্য। মুজাহিদদের এই বীরত্বপূর্ণ অপারেশনে ধ্বংস হয় মার্কিন প্রশাসনের দেওয়া কয়েকটি সাঁজোয়া যানও।
মুজাহিদদের হাতে পরাজিত এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের জীবন বাঁচাতে ঘটনাস্থলে অবতরণ করে মার্কিন হেলিকপ্টার। পরে বিমানগুলোর সহায়তায় পালাতে সক্ষম হয় ‘দানব’ নামক আমেরিকার পালিত এই গোলমা ফোর্সের কমান্ডোরা।
এই অপারেশনের একদিন আগে সোমালিয়ার আফজাউয়ী, কিসমায়ো ও বারী শহরে আরও ৩টি পৃথক অভিযান চালান মুজাহিদগণ। যাতে ৪ গোয়েন্দা সদস্য সহ ৭ গাদ্দার সেনা নিহত হয়। সেই সাথে একজন আঞ্চলিক প্রশাসক সহ আরও ১৩ গাদ্দার সেনা আহত হয়। যাদের মাঝে ৫ সেনার অবস্থাই আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
অপরদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানী মোগাদিশু, বাকুল ও আফজাউয়ী শহরে আরও ৩টি পৃথক অভিযান চালান হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। এতে ক্রুসেডার উগান্ডান বাহিনীর ৩ গুপ্তচর, ইথিওপিয়ার ৩ সেনা ও সোমালি গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ১ সেনা কমান্ডার নিহত হয়। এই হামলাগুলোতে আতত হয় আরও বেশ কিছু গাদ্দার ও কুফ্ফার সেনা।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্লেষকরা বলছেন- একদিকে যখন স্থানীয় এবং পশ্চিমা ক্রুসেডার ও গাদ্দার গোষ্ঠী আশ-শবাএর সাথে আলোচনা শুরু ও জেকন উপায়ে সোমালিয়া ছাড়ার সুযোগ খুঁজছে, সেই সময় আশ-শাবাব মুজাহিদিন তাদের উপর হামলার মাত্রা বৃদ্ধি করে এটাই প্রয়ান করছেন যে, সোমালিয়া ছাড়তে হলে ইসলাম ও মুসলিমের শত্রুদেরকে সোমালিয়া ছাড়তে হলে তাঁদের কথা মেনে ও নত হয়েই ছাড়তে হবে। আর এমনটাই ঘটেছিল আফগানিস্তানেও।