দুনিয়ায় প্রত্যেক মানুষের কাছেই প্রিয় তার সন্তান। তাদের মধ্যে সর্বাধিক প্রিয় হলো শিশু। এজন্য শিশুদেরকে ফুলের সাথে তুলনা করে থাকেন অনেকেই। অথচ বর্বর ইসরাইলি ইহুদিরা যুগ যুগ ধরে ফুল সমতুল্য শিশুদের হত্যা করে আসছে। কোন কিছুই পরোয়া করছেনা ইহুদিরা। ইহুদি সেনারা মুহুর্মুহু হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনে, আর এসব হামলায় মৃত্যু হচ্ছে মাজলুম ফিলিস্তিনি শিশুদের। টার্গেট করে গুলি করে খুনও করা হয়েছে অনেক শিশুকে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিবরণে বলা হয়, গত সপ্তাহে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছিল ১৭ জন ফিলিস্তিনি শিশু৷ গত ৯ আগস্ট আরও দু’জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করায় এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯ জনে। এ নিয়ে গত ৮ মাসে ৩৭ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করলো সন্ত্রাসী ইসরাইলের বর্বর সেনারা। চিরতরে পঙ্গু করা হয়েছে ১৫১ জন শিশুকে। যার আর কখনই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেনা। তবে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
এক বিবৃতিতে কথিত জাতিসংঘও বিষয়টি স্বীকার করেছে। সংস্থাটির দায়সারা বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছর অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইল৷ জাতিসংঘ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, তাদের এমনভাবে পেশিশক্তি ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে যে, তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের শামিল। কিন্তু সরাসরি ‘মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন’ কথাতি বলতে নারাজ অমুসলিম জাতিসঙ্ঘ। কথিত জাতিসংঘের বিবৃতি এখানেই শেষ।
আসলে তাদের কাছে ফিলিস্তিনি বা কোন মুসলিমদের জন্যই মানবাধিকার বলতে কিছু নেই৷ তাঁরা তো আর তাদের মতো সাদা চামড়ার ইউক্রেনিয় বা তথাকথিত ইউরোপীয় ‘সভ্য’ রাষ্ট্রের খ্রিস্টান নাগরিক নয় যে, তাদের জন্য ইউরোপ ও পশ্চিমারা একজোট হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে। পশ্চিমারা উল্টো ফিলিস্তিনিদেরকেই সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করতে ব্যস্ত।’ফিলিস্তিনে হামলা করে নিজেদের রক্ষা করার অধিকার আছে ইসরাইলের’- এমন কথা এখন অহরহই বলছে তারা। মুসলিম শিশুদের জীবনেরও কোন মূল্য নেই তাদের কাছে, সেটা ফিলিস্তিন-কাশ্মীর-সিরিয়া-ইয়েমেন-সোমালিয়া যেখানেই হোক।
তাই, এমন নির্লজ্জ পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহ ও জাতিসংঘ ফিলিস্তিনের পক্ষে সাহায্য করবে- এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে মুসলিম উম্মাহকেই ফিলিস্তিন সহ অন্যান্য ভূখণ্ডের অসহায় মুসলিম নারী-বৃদ্ধ ও শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মুজাহিদ আলিমগণ।
তথ্যসূত্র:
——–
1. 37 children killed by Israel so far this year
– https://tinyurl.com/ycy8rcc2
۞لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ ٱلنَّاسِ عَدَٰوَةٗ لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱلۡيَهُودَ وَٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْۖ
অবশ্যই মুমিনদের শত্রুতায় মানুষের মধ্যে ইয়াহুদী ও মুশরিকদেরকেই আপনি সবচেয়ে উগ্র দেখবেন।
-Surah Al-Ma’idah, Ayah 82
এই আয়াতের উদাহরণ পৃথিবীতে বিদ্যমান, যেমনিভাবে ইহুদীরা ফিলিস্তিনের উপর অত্যাচার করছে ঠিক অনুরুপ মুশরিকরা উপমহাদেশের মুসলমানদের উপর অত্যাচারে লিপ্ত।
এদের থেকে মুক্তির জন্য এবং এদেরকে ধ্বংস করার জন্য আমাদের এক কালজয়ী মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত হতে হবে ইনশাআল্লাহ। আর এই জন্য আমাদেরকে নিতে হবে সাধ্যমত কঠিন প্রস্তুতি, যেমন
আলাহ বলেছেন….
وَأَعِدُّواْ لَهُم مَّا ٱسۡتَطَعۡتُم مِّن قُوَّةٖ وَمِن رِّبَاطِ ٱلۡخَيۡلِ تُرۡهِبُونَ بِهِۦ عَدُوَّ ٱللَّهِ وَعَدُوَّكُمۡ وَءَاخَرِينَ مِن دُونِهِمۡ لَا تَعۡلَمُونَهُمُ ٱللَّهُ يَعۡلَمُهُمۡۚ
আর তোমরা তাদের মুকাবিলার জন্য যথাসাধ্য প্রস্তুত রাখ শক্তি ও অশ্ব বাহিনী, তা দিয়ে তোমরা ভীত-সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহ্র শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে এবং এরা ছাড়া অন্যদেরকে যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন ।
-Surah Al-Anfal, Ayah 60
এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন, আমাদেরকে
ঐ সকল ধরনের অস্র আবিষ্কার শিক্ষা করা এবং ব্যবহার করার তাএফিক দান করুক। যেসকল অস্র কাফেররা আমাদের জন্য বানাচ্ছে এবং শিক্ষা করছে হোক তা পারমাণবিক বা মিসাইল কিংবা জংগী ফাইটার। যাতে আমরা জালিমের জুলুমের সমপরিমাণ বদলা নিতে পারি।
আল্লাহর বাণী…..
فَمَنِ ٱعۡتَدَىٰ عَلَيۡكُمۡ فَٱعۡتَدُواْ عَلَيۡهِ بِمِثۡلِ مَا ٱعۡتَدَىٰ عَلَيۡكُمۡۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلۡمُتَّقِينَ
কাজেই যে কেউ তোমাদেরকে আক্রমণ করবে তোমরাও তাকে অনুরূপ আক্রমণ করবে এবং তোমরা আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন করবে। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।
-Surah Al-Baqarah, Ayah 194