সম্প্রতি আফগানিস্তান জুড়ে ব্যাপক সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ইমারাতে ইসলামিয়ার সামরিক বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের প্রতিটি সামরিক ইউনিট উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। আর তা খুব জোরালোভাবেই সারা দেশে দ্রুতগতিতে পরিচালিত হচ্ছে।
তালিবান সরকার কর্তৃক তড়িঘড়ি এই উচ্চমানের সামরিক প্রশিক্ষণ জনমনে নানান প্রশ্ন ও আশার জন্ম দিচ্ছে। ফলে বিশ্লেষকরাও এর কারণ খোঁজে বের করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই তালিবানদের এই সামরিক মহড়াকে আসন্ন ব্যাপকতর সংঘাতের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে উল্লেখ করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘ডুরান্ড-লাইন’ নিয়ে পাকিস্তান সরকারের সাথে উত্তেজনা পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে কয়েকগুণ বেড়েছে। অপরদিকে পাকিস্তান প্রশাসন আফগানিস্তানে হামলা চালাতে মার্কিন বাহিনীকে তাদের ভূখন্ড ও আকাশসীমা ব্যাবহার করতে দিচ্ছে। ফলে আফগানিস্তানে প্রতিদিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনগুলি উড্ডয়ণ ও টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি পাকিস্তানের নজরদারি ড্রোনও ভূপাতিত করেছেন তালিবান প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ। অন্যদিকে পাক-সরকার ও পাক-তালিবানদের মধ্যকার আলোচনাও ফলপ্রসু হচ্ছে না। যেখানে আলোচনাকালীন যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলা চালাচ্ছে গাদ্দার পাকি-বাহিনী।
একই সময়ে প্রতিবেশী তাজিকিস্তান ও ইরানের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে সীমান্তে সংঘাত লেগেই আছে। যেখানে ইরান সীমান্ত রেখায় দেশটির বর্ডারগার্ডের বাড়াবাড়ি এবং আফগান অভিবাসীদের উপর সামরিক বাহিনীর জুলুম নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অপরদিকে উজবেকিস্তান সহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তালিবান সরকার কয়েকদফা আলোচনা ও বৈঠকের পরেও আফগানিস্তানের আটকে রাখা সামরিক সরঞ্জাম ও বিমানগুলি ফেরত দিচ্ছে না তারা। এর ফলে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেছেন যে, প্রতিবেশীরা যদি আলোচনার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ফিরত না দেয়, তাহলে আমরা তা সামরিকভাবে আদায় করতে বাধ্য হবো।
এদিকে পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও সামরিক কর্মকর্তারাও পশ্চিমা দেশগুলোকে তালিবানদের বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দুই দশক ধরে আফগান নারীদের নির্যাতন আর প্রতিদিন গড়ে ৫ জন শিশুকে হত্যা করে এখন আবার তারা কথিত নারী স্বাধীনতা আর শিশু অধিকারের বুলি আওড়াচ্ছে। তাদের মতে আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমাদের প্রত্যাহার নাকি একটি বড় ভুল ছিল। আফগানিস্তান নাকি এখন বিশ্বের জন্য নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠেছে।
তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব পরিস্থিতিকে সামনে রেখেই হয়তো তালিবান সরকার দেশের সমস্ত সামরিক ইউনিটগুলোকে সক্রিয় করে তুলতে সামরিক মহড়া দিচ্ছে। সেই সাথে ইমারাতে ইসলামিয়ার বিশেষ সামরিক ক্যাম্পগুলিতে হাজার হাজার যুবককে উন্নত সব সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
আর এমনই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রায় ৩৯ মিনিটের একটি সামরিক মহড়ার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে তালিবানদের স্পেশাল ফোর্স “ভিক্টোরি-কমান্ডো”র বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণের ভিডিও চিত্র দেখানো হয়েছে।
আল-হিজরাহ স্টুডিও থেকে প্রকাশিত “ভিক্টোরি-কমান্ডো” ফোর্সের নতুন ভিডিওটি দেখুন…
(বি.দ্র. -ডিলিট হওয়ার আগেই ভিডিওটি সরাসরি ইউটিউব থেকে দেখেনিন, কিংবা কোনো অ্যাপের মাধ্যমে ডাউনলোড করে নিন ইনশাআল্লাহ্)
ইউটিউব লিংক – https://youtu.be/eRT2GlK2Cew
ডাউনলোড লিংক- (.mp4) 720p 581 MB
https://archive.org/details/victory-commando
ডাউনলোড লিংক- (.mp4) 360p 169.4 MB
https://archive.org/details/victory-commando-.mp-4-360p
আল্লাহ আমাকে ইমারতে ইসলামিয়াতে হিজরত করার তাওফীক দান করুন। (আমিন)