ইন্দোরে গত এক সপ্তাহে অন্তত ১৪ জন মুসলিম পুরুষকে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের তত্ত্বাবধায়করা তাদের পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাদের অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তারা নবরাত্রি উদযাপনের উৎসবের অংশ হিসাবে গরবা পরিবেশন করা হয় এমন স্থানে প্রবেশ করেছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ ধারার অধীনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিন্দুত্ববাদী ঊষা ঠাকুরের হিন্দু উৎসবের স্থানে আসা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তৃতা দেওয়ার পর হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের আটক করে পুলিশে দিয়ে দেয়।
রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী উগ্র ঊষা ঠাকুর বলেছে, “গরবা প্যান্ডেলগুলি লাভ জিহাদের মাধ্যম হয়ে উঠছে। তাই যারা মা দুর্গার প্রতি বিশ্বাস রাখেন না, তাদের গরবায় যাওয়া উচিত নয়।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রও ঘোষণা করেছে যে, গরবা ভেন্যুতে প্রবেশের আগে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী সহ বিতর্কিত হিন্দুত্ববাদীরা উষা ঠাকুরকে সমর্থন জানিয়েছে।
– গত ২৭ সেপ্টেম্বর পান্দ্রিনাথের একটি গরবা ভেন্যুতে ছবি তোলার সময় বজরং দলের সদস্যরা সাতজন মুসলিম পুরুষকে আটক করে। পরে পুলিশ তাদের ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করে।
– এছাড়া গত ২৮শে সেপ্টেম্বর, পালসিকর কলোনির একটি গরবা ভেন্যুতে একজন মুসলিম ব্যক্তিকে এবং খাজরানার একটি প্যান্ডেল থেকে আরেকজন মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়।
– ১ অক্টোবর, নন্দলাল পুরী সবজিমন্দি গরবা প্যান্ডেল থেকে তিনজন মুসলিম পুরুষকে এবং ২ অক্টোবর পন্দ্রীনাথ গরবা প্যান্ডেল থেকে বিহারের দুইজন মুসলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, কতিপয় সেক্যুলার নেতারা মুসলিমদের বোকা বানায় যে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। প্রকৃতপক্ষে কোন মুসলিমের জন্য হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত নয়। যে সকল মুসলিম সেক্যুলারদের কথায় হিন্দুদের অনুষ্ঠানে যায়, মুসলিম বিদ্বেষের কারণে তাদেরকেও আটক করতে শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
তথ্যসূত্র:
——-
1. MP: Following minister’s hate speech, 14 Muslims arrested in 7 days for entering garba venues
– https://tinyurl.com/3d2f77jm