উইঘুর মুসলিমদের গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রস্তাব করা একটি বিতর্কে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিশ্বের কথিত মুসলিম দেশগুলো। ৪৭ সদস্যের সেই মানবাধিকার কাউন্সিলে ১৯-১৭ ভোটে খসড়া সিদ্ধান্ত নামে পরিচিত এই “প্রস্তাবটিকে” পরাজিত করেছে চীন ও তার কথিত মুসলিম দেশের মিত্ররা। এছাড়াও উক্ত কাউন্সিলের ১১ টি সদস্য দেশ সেই বিতর্ক প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, যাদের মধ্যেও রয়েছে কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
যে ১৯ টি সদস্য দেশ উইঘুরদের পক্ষে প্রস্তাবিত সেই বিতর্কে যোগদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, মৌরিতানিয়া, পাকিস্তান, কাতার, সেনেগাল, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং উজবেকিস্তান।
এছাড়া ভোটদানে বিরত থাকা ১১ টি সদস্য দেশের মধ্যে গাম্বিয়া, লিবিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো মুসলিম দেশগুলোও অন্যতম।
কথিত এই ‘মুসলিম দেশের শাসকগণ’ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বা ভোটদানে বিরত থেকে মূলত চীনকেই সমর্থন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই কথিত মুসলিম শাসকদের এমন আচরণ কেবল উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতনকে বৈধতা দেওয়াই নয়, বরং তা বিশ্বের সকল মাজলুম মুসলিমের উপর সংগঠিত নির্যাতনকে বৈধতা দেওয়ারই নামান্তর। এই ঘটনা সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিমের অনুভূতিতেই আঘাত এনেছে।
চীনকে সমর্থনের মাধ্যমে কথিত এই মুসলিম শাসকগণ শুধু উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধেই নিজেদের অবস্থানকে প্রমাণিত করছে না, বরং ইসলামের বিরুদ্ধেও নিজেদের অবস্থানকে মুসলিম বিশ্বের কাছে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত করছে।
তথ্যসূত্রঃ
———
1. Call for debate on rights violations in Xinjiang rejected by UN Human Rights Council
– https://tinyurl.com/2pxs5hp6
2. The UN Human Rights Council rejected the motion to debate the Uyghur Muslim genocide on Thursday
– https://tinyurl.com/3j5tttyh
3. Shameless anti-Islamic regimes
– https://tinyurl.com/2xfpau9y