উত্তরপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৬,৪৩৬ টি মাদ্রাসাকে অস্বীকৃত হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইউপি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। গত ১২অক্টোবর বুধবার রাজ্যের কথিত সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রী ধরমপাল সিং এ তথ্য জানিয়েছে।
এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময়, উগ্র সিং আরও বলেছে যে, রাজ্যের অস্বীকৃত মাদ্রাসাগুলির সমীক্ষার সময়কাল ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে৷ “জরিপটির ডেটা ১৫ নভেম্বর, ২০২২ এর মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সরকারের কাছে পাঠানোর কথা ছিল।”
অল ইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল বোর্ডের (AISPLB) সদস্য মাওলানা ইয়াসুব আব্বাস মাদ্রাসা সমীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং এর বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, জরিপ প্রতিবেদনটি সুষ্ঠু হওয়া উচিত এবং এর ভিত্তিতে গৃহীত ব্যবস্থা যেন একতরফা মুসলিম বিরোধী না হয়।
উত্তরপ্রদেশে আনুমানিক ১৭,০০০টি স্বীকৃত মাদ্রাসা চালু আছে, কিন্তু রাজ্যে অস্বীকৃত মাদ্রাসার কোনো সরকারি রেকর্ড নেই। ইউপি মাদ্রাসা বোর্ড অনুমান করে যে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪০,০০ থেকে ৫০,০০০ মাদ্রাসা রয়েছে।
অল-ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি), জমিয়ত উলামায়ে-হিন্দ, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) এর মতো মুসলিম সংস্থাগুলি থেকে অস্বীকৃত মাদ্রাসাগুলির সমীক্ষা করার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী হিন্দসহ অন্যান্য দলগুলো এটিকে “মিনি এনআরসি” হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তবে তাদের কারোই কিন্তু কিছু করার নেই, বা সেই শক্তিমত্তা নেই যে সরকারের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করবে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং মুসলিম নেতারা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলিকে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি মাদ্রাসায় বুলডোজার চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
বিশ্লেষকগণ বলেছেন, মূলত এই সমীক্ষার মাধ্যমে মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালানো ও ’সন্ত্রাসী’ ট্যাগ লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে। এই সমীক্ষার মাধ্যমে বেসরকারি মাদ্রাসাগুলিতে হস্তক্ষেপ করার একটি প্রচেষ্টা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন ইসলামিক চিন্তাবিদগণ৷
উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো মাদ্রাসাগুলোকে ’জিহাদী’ তৈরির কারখানা হিসেবে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। এখন হিন্দুত্ববাদী উগ্র নেতারা সেগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা করছে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Over 6,000 madrasas found unrecognised, survey to continue: UP govt
– https://tinyurl.com/yc7x4fs8