সম্প্রতি উইঘুর ট্রাইবুনালে এক উইঘুর মুসলিম নারীর সাক্ষ্যতে একটি ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। গুলজির আলউকানকিজ নামের ঐ নারী জানিয়েছেন যে, বন্দীশিবিরে মুসলিমদের জোরপূর্বক কুরআনের উপর মলত্যাগে বাধ্য করছে চীনা দখলদাররা।
গুলজির বলেন, “২০১৮ সালে আমরা একটি বন্দীশিবিরে ছিলাম। সেখানে কারারক্ষীরা টয়লেটের জন্য আমাদেরকে একটি ছোট বালতি দিয়েছিলো। ঐ কারাগারে প্রতিটি বন্দী কক্ষে একটি করে ছোট গর্ত ছিলো। ঐ গর্ত দিয়ে তারা আমাদের খাবার সরবরাহ করতো। তারা আমাদেরকে কুরআনও দিয়েছিল। সেই কুরআন ঐ বালতিতে ফেলে সেটার উপরেই আমাদের মলত্যাগ করতে বাধ্য করতো।”
তুর্কীস্তানের বন্দীশিবির সহ পুরো অঞ্চল জুড়েই উইঘুর মুসলিমদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে দখলদার চীনারা। খুন, ধর্ষণ, অঙ্গ অপসারণ, জোরপূর্বক শ্রম, মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা বানানো, উইঘুরদের ভাষা ও সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করা, বাচ্চাদেরকে তাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করে বোর্ডিং স্কুলে পাঠদান, মুসলিম নারীদের সাথে হান চীনাদের জোরপূর্বক বিবাহ, পর পুরুষদের সাথে মুসলিম নারীদের যেতে বাধ্য করা, দাঁড়ি-টুপি পরিধানে বাঁধা, মসজিদ ধ্বংস করা – উইঘুরদের উপর চালানো বর্বরতা জংলী মানবদের রূপকথাকেও হার মানায়।
সারা বিশ্বের কাছেই তুর্কীস্তানের মুসলিমদের উপর সন্ত্রাসী চীনের নির্যাতনের বিষয়টি এখন স্পষ্ট। দখলদার চীন স্পষ্টভাবেই সকল প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তবুও মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো এ বিষয়ে সামান্য প্রতিবাদ করতে নারাজ। মুসলিম উম্মাহর তাই উচিত মুসলিম বিশ্বের কথিত শাসকদের জন্য অপেক্ষা না করে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসা।
তথ্যসূত্রঃ
——–
1. Horrific testimony of Uyghur Muslim, Gulzire Alwuqanqiz
– https://tinyurl.com/23wn3r44