ইসলামি শাসনের নিন্দুকেরা সবসময়ই নারী শিক্ষা ও নারী উন্নয়নের বুলি আওড়ায়। ইসলামি শাসন নারীদের ঘরে বন্দী করে রাখে, নারীদের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাসী নয়, নারী শিক্ষায় বিশ্বাসী নয় – এসব প্রোপাগান্ডা প্রচার করে বেড়ায়।
এবারে এই নিন্দুকদের শক্ত জবাব দিয়েছেন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মৌলভী নিদা মুহাম্মদ নাদিম হাফিজাহুল্লাহ।
“কিছু লোক আমাদেরকে বলে যে, নারীদের উন্মুক্ত পার্কে যেতে দেওয়া, রাস্তায় শরীর চর্চা করতে দেওয়া, অফিস ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদেরকে শরিয়াহ নীতিমালার বাহিরে ছেড়ে দেওয়াই নাকি বুদ্ধিমানের কাজ!
“কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে! মহান আল্লাহর দ্বীন কী বলে, মুজাহিদিনরা কী চায়, এই জাতি ও আলেমরা কী চায়, তারা তা বুঝতে চায় না। বরং তাদের কাছে কাফেরদের খুশি করাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সবার কাছে এটি স্পষ্ট করতে চাই যে, আমরা নারী শিক্ষার বিরোধী নই। শিক্ষার নামে তাদের উপর অতিরিক্ত কোনো কিছু চাপিয়েও দিতে চাই না, যা তাদের জন্য প্রয়োজন নেই। যেমনটি পূর্ববর্তী সরকারের আমলে পশ্চিমা শিক্ষা ব্যবস্থায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
“এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয় ইসলামি বিশ্বের নেতৃস্থানীয় আলেমদের সাথে আলোচনা করেছেন এবং এখনো করছেন। এই আলোচনা ও পরামর্শ থেকে এখন পর্যন্ত এটা স্পষ্ট যে, আমরা নারীদের জন্য নিরাপদ ও পর্দায় পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করবো। যাতে নারীরা চিকিৎসা, নার্সিং এবং মিডওয়াইফারির মতো নারী কেন্দ্রীক বিষয়গুলোতে ইসলামি শরিয়াহ্ অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারবেন।
“আর প্রাথমিক ভাবে নারী শিক্ষিকার সংকট এড়াতে পুরুষ শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে পর্দার আড়াল থেকে মেয়েদের পড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে মেয়েদেরকে অবশ্যই সম্পূর্ণ শরিয়াহ্ ভিত্তিক হিজাব পালন করতে হবে,” তিনি যুক্ত করেন।
ইমারতে ইসলামিয়া যে নারী শিক্ষার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে তা তথাকথিত সুশীল গোষ্ঠী ও পশ্চিমাদের দালাল হলুদ মিডিয়াগুলো উল্লেখ করে না। বরং, ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষ থেকে গৃহিত সময়োচিত পদক্ষেপগুলো গোপন রেখে সাধারণ মানুষের সামনে শুধু মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
অপরদিকে নিন্দুকের নিন্দাকে পরোয়া না করে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উমারাগণ শক্ত হাতে ইসলামি শাসন ও বিধি-বিধান কায়েমের চেষ্টা করে যাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ।