পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ইসলামি শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠা করতে এবং দেশটি থেকে দখলদার বাহিনীকে বিতাড়িত করতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। প্রতিরোধ বাহিনী শাবাবের এই যুদ্ধে ভারী মূল্য দিতে হচ্ছে কুফ্ফার বাহিনীকে।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত সপ্তাহেও হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন দেশটিতে পশ্চিমা-সমর্থিত সোমালি সরকার এবং এটিকে সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে ৬৯টি আক্রমণ চালিয়েছেন। যার ফলে সরকারী মিলিশিয়া এবং আফ্রিকান বাহিনীর মধ্যে প্রচুর বস্তুগত ও অবস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলি গত সপ্তাহে শাবাবের পরিচালিত ৬৯টি হামলার মধ্য থেকে মাত্র ৯টি হামলার বিষয়ে পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে। এর কারণ হচ্ছে, মুখে “বাকস্বাধীনতা” ও “স্বাধীন সাংবাদিকতা”র বুলি আওড়ানো পশ্চিমাদের তাঁবেদার সোমালি সরকার কর্তৃক দেশের সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক ও গণমাধ্যমগুলির টুটি চেপে ধরা।
পশ্চিমা ক্রুসেডারদের সহায়তায় টিকে থাকা সোমালি সরকার নিজেদের পরাজয় ঢাকতে শাবাবের হামলার সংবাদ কাভার করার উপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞা সত্বেও স্বাধীন কয়েকটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে যে, গত সপ্তাহে হারাকাতুশ শাবাবের পরিচালিত দুঃসাহসী হামলাগুলির ৯টিতেই সেক্যুলার সোমালি সেনাবাহিনীর অন্তত ৫২ সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ ৮ কর্মকর্তাও রয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সাথে মুজাহিদগণ গত সপ্তাহে ১টি শহর এবং ২টি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছেন, যেগুলো কিছুদিন পূর্বে সোমালি বাহিনী আন্তর্জাতিক জোট বাহিনী ও মিলিশিয়াদের সহায়তায় দখল করে নিয়েছিলো।
ধারণা করা হচ্ছে, হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের পরিচালিত বাকি ৬০ টি হামলাতে পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি সেক্যুলার বাহিনীর আরও কয়েক শতাধিক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
Alhamdulillah . May Allah Help Him