পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ইসলামি শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। আর হারাকাতুশ শাবাবের এই পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের সমর্থিত সোমালি সরকার এবং এর সহায়তাকারী ক্রুসেডার আফ্রিকান ইউনিয়ন বাহিনী।
যার ফলে, হারাকাতুশ শাবাবকে প্রায়শই যুদ্ধের সময় সোমালি বাহিনীর পাশাপাশি এটিকে সমর্থনকারী অ্যামেরিকা, তুরস্ক ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করতে হচ্ছে। ফলে এই যুদ্ধে সোমালি বাহিনীর পাশাপাশি অসংখ্য দখলদার সেনাও হতাহত হচ্ছে।
যার ধারাবাহিকতায় অতি সম্প্রতি, “আফ্রিকান ইউনিয়ন ট্রানজিট মিশন টু সোমালিয়া” (এটিএমআইএস) এর সাথে যুক্ত সৈন্যরা আশ-শাবাব দ্বারা পরিচালিত ৯টি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই জোটের অধীনে আফ্রিকার ৭টি দেশের হাজার হাজার সৈন্য সোমালিয়ায় আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যাদেরকে আফ্রিকান দেশগুলো ছাড়াও পশ্চিমা বিশ্ব, জাতিসংঘ এবং মুসলিম নামধারী একাধিক দেশ সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছে।
বিপুল এই সামরিক শক্তি নিয়েও এই জোট আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে সম্মুখ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার সাহসটুকও করছে না। বরং সোমালি বাহিনীকে ঢাল বানিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে। এতো কিছু স্বত্বেও শাবাবের ‘ধোলাই’ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে এই জোট বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের ৯টি হামলার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি দক্ষিণ সোমালিয়ার শাবেল অঞ্চলের জালউইন এলাকায় আশ-শাবাবের এক হামলায় এটিএমআইএস-এর কমপক্ষে ৭ উগান্ডান সৈন্য নিহত হয় এবং আরও ১৬ সেনা সদস্য আহত হয়।
বরকতময় হামলাটি উক্ত অঞ্চলে ভ্রমণকারী এটিএমআইএস কনভয়কে লক্ষ্য করে প্রথমে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস দ্বারা চালানো হয়েছিল। বিস্ফোরণে ১টি সামরিক যান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেলে সেনারা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে, আর তখনই শাবাব যোদ্ধারা অতর্কিত হামলাটি চালানো শুরু করেন।
এই জোটের বিরুদ্ধে হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধারা তাদের অন্য একটি সফল হামলা চালান মাহদায়ী জেলায়। সূত্রমতে সেনাদের একটি কাফেলা টার্গেট করে ১৮ জানুয়ারি পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। আর তাতেই বুরুন্ডিয়ান বাহিনীর অন্তত ২ সৈন্য নিহত এবং আরও ৩ সৈন্য আহত হয়।
হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন তাদের বাকি হামলাগুলো সোমালিয়ার জুবা, শাবেলি এবং বে রাজ্যে পরিচালনা করেছেন। যেগুলো ক্রুসেডার উগান্ডান ও কেনিয়ান সেনাদের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এছাড়াও সমগ্র সোমালিয়া জুড়ে এটিএমআইএস সামরিক ঘাঁটিতে রকেট এবং মর্টার হামলাও প্রতিদিন চালাচ্ছেন মুজাহিদগণ।