পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ইসলামবিরোধী শক্তির অবস্থানগুলোকে টার্গেট করে লাগাতার ভারী হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২১ জানুয়ারি শনিবার বিকাল পর্যন্ত, সোমালিয়া জুড়ে দখলদার বাহিনীর ৭টি ঘাঁটিতে একযোগে ১৫টি সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে অসংখ্য ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ১৫টি হামলা চালানো হয়েছে সোমালিয়ার মারাকা, শালান্বুদ, জানালী, দীনসুরী, জাবিদ, জুফজুদুদ-বুরী ও হুজাংকু শহরে। এই শহরগুলোতে মুজাহিদদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় আফ্রিকম ইউনিয়নের অংশীদার ক্রুসেডার উগান্ডান ও কেনিয়ান বাহিনী।
এরমধ্যে মারাকা শহরে উগান্ডান বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের পরিচালিত হামলায় অন্তত ৯ ক্রুসেডার সৈন্য নিহত এবং আরও ৩ ক্রুসেডার সৈন্য আহত হয়। বাকি হামলাগুলোতে কত ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।
অপরদিকে, মুজাহিদগণ তাদের বাকি ৭টি হামলার মধ্যে ৫টিই পরিচালনা করেছেন সোমালি স্পেশাল ফোর্সকে টার্গেট করে, যারা ক্রুসেডার আমেরিকা ও তুরস্ক কর্তৃক প্রশিক্ষিত। হামলাগুলো কেন্দ্রীয় মাদাক রাজ্যের হারিদারি শহরের বিভিন্ন এলাকায় চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। মুজাহিদদের এসব হামলায় সোমালি স্পেশাল ফোর্সের অন্তত কয়েক ডজন সৈন্য হতাহত হয়েছে, সেই সাথে ৬টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে আশ-শাবাব মুজাহিদিন কৌশলগত কারণে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই শহরটি ছেড়ে গিয়েছেন। পরে সোমালি বাহিনী এখানে ভারী সাঁজোয়া যান ও অস্ত্র নিয়ে একত্রিত হয়েছিল। শহরটি যখন সামরিক সরঞ্জাম, যানবাহন আর শত শত পশ্চিমা প্রশিক্ষিত সেনা দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়, ঠিক তখনই আশ-শাবাব ২১ জানুয়ারি সকাল থেকে সেখানে হামলা চালাতে শুরু করেন।
উল্লেখ্য যে, কিছুদিন পূর্বে জালকাদ শহরটিও কৌশলগত কারণে ছেড়ে গিয়েছিল আশ-শাবাব। মুজাহিদরা পালিয়ে গেছে ভেবে সোমালি বাহিনী শহরে প্রবেশ করে। এরপর ২০ জানুয়ারি মুজাহিদগণ শহরটিতে হামলা করে আড়াই শতাধিক সৈন্যকে হত্যা করেছেন এবং ৪৫টি সাঁজোয়া যান গনিমত হিসাবে উদ্ধার করেছেন।