সোমালিয়ায় শাবাবের দুর্দান্ত অভিযানে ২টি ঘাঁটি বিজয়সহ অন্তত ৬৮ সেনা হতাহত

ত্বহা আলী আদনান

0
782
অভিযান চলাকালীন অবস্থায় শাবাব মুজাহিদিনের অ্যাকশন

সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে গত ৭-৯ মার্চের মধ্যে অন্তত ১৮টি সামরিক অভিযান পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। এসব অভিযানের ৭টিতেই সোমালি বাহিনীর কমপক্ষে ৬৮ সৈন্য হতাহত হয়েছে।

এর মধ্যে ৭ মার্চ কিসমায়ো অঞ্চলের বারসাঙ্গুনি এলাকায় সোমালি বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রেইড করেন মুজাহিদগণ। অভিযানে সোমালি বাহিনীর অন্তত ৫ সেনা নিহত এবং আরও ৪ সেনা সদস্য আহত হয়।

এদিন উক্ত অঞ্চলের ইউনটুই এলাকায় সোমালি বাহিনীর একটি কনভয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। এতে অন্তত ৮ সেনা নিহত হয় এবং অন্যরা আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।

এমনিভাবে কিসমায়ো অঞ্চলের জিসর-তারিক ও সিনক্লেয়ার এলাকায় সোমালি বাহিনীর ২টি ঘাঁটিতে অতর্কিত অভিযান চালান মুজাহিদগণ। সংক্ষিপ্ত লড়াই শেষে মুজাহিদগণ উভয় ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন এবং অসংখ্য অস্ত্র গনিমত লাভ করেন। এসময় মুজাহিদদের হাতে অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়, যাদের মাঝে ৩ সেনার মৃতদেহ ঘাঁটিতে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় অন্যান্য সোমালি সেনারা।

গত ৭ মার্চ একই অঞ্চলে সোমালি বাহিনীকে সাহায্যের জন্য বের হওয়া আরও একটি কনভয় টার্গেট করে পরপর কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। এতে কয়েকটি সাঁজোয়া যান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অন্তত ৯ সৈন্য নিহত হয়, একই সাথে আরও ১০ সেনা সদস্য আহত হয়।

এদিকে গত ৯ মার্চ দুপুরে হিরান রাজ্যে সোমালি বাহিনীর একটি সমাবেশস্থল লক্ষ্য করে ২টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। এতে সোমালি সামরিক বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত এবং আরও ৯ সদস্য আহত হয়।

এদিন দক্ষিণ-পশ্চিম সোমালিয়ার বে রাজ্যের বাইদাওয়ে শহরেও সামরিক বাহিনীর অবস্থানে সফল বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। এই হামলায় সোমালি সরকারি বাহিনীর ৫ সদস্য নিহত এবং আরও ৬ সদস্য আহত হয়।

অপরদিকে জুবা রাজ্যের জালাজদুদ শহরে অবস্থিত সোমালি বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে সফল মর্টার ছোড়েন মুজাহিদগণ। যার ফলশ্রুতিতে সামরিক বাহিনীর অন্তত ৬ সৈন্য হতাহত হয়।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিহারে হিন্দুদের হোলি উৎসবে দুই নাবালিকা মুসলিমাকে ধর্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধতুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি || পর্ব-২ || আধুনিকায়ন, অগ্রযাত্রা ও সামরিক সক্ষমতা