পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির পাশাপাশি গত বছর থেকে প্রতিবেশি বুর্কিনা ফাসোতেও সামরিক অপারেশন জোরদার করেছে আল-কায়েদা। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আল-কায়েদা পৃথক অভিযানে বুরকিনান বাহিনীর অন্তত ৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার, বুরকিনা ফাসোর ফারসাগা গ্রামে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানটি উক্ত এলাকায় অবস্থিত বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাক লক্ষ্য করে অ্যাম্বুশ পদ্ধতিতে চালানো হয়। মুজাহিদদের অতর্কিত এই অ্যাম্বুশের ফলে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে শত্রু ঘাঁটিতে অবস্থানরত সেনারা।
শত্রু ব্যারাকের সেনারা কিছু বুঝে উঠার আগেই মুজাহিদগণ তাদের মধ্য থেকে অনেক সৈন্যকে হত্যা এবং আহত করেন। বাকিরা তাদের ২ সঙ্গীর মৃতদেহ ব্যারাকে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। সেনাদের এই পলায়নের পর মুজাহিদগণ ব্যারাকটির নিয়ন্ত্রণ নেন এবং সেখান থেকে ২টি ক্লাশিনকোভ ও ৪০টি মোটরসাইকেল সহ অসংখ্য গোলাবারুদ উদ্ধার করেন।
বরকতময় এই অপারেশনের ঠিক একদিন পরেই (২৭ ফেব্রুয়ারি) জেএনআইএম মুজাহিদিন তাদের অপর একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন দেশটির সুদগোই এলাকায়। এই অভিযানে মুজাহিদগণ শত্রু বাহিনীর একটি কনভয়ে এম্বুশ করলে উভয় বাহিনীর মাঝে লড়াই ছড়িয়ে পড়ে। তবে শত্রু বাহিনী মুজাহিদদের সামনে বেশিক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে পারেনি, বরং মুজাহিদিনের তীব্র আক্রমণে শত্রুরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেনাদের পিছু হটার আগেই মুজাহিদগণ তাদের মধ্য থেকে ৬ সৈন্যকে হত্যা করতে সক্ষম হন, আর বাকিরা আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।
এই অভিযান শেষে মুজাহিদগণ শত্রুদের থেকে ৬টি মাঝারি ক্যালিবারের অস্ত্র, ১টি রকেট লঞ্চার ও ২১টি মোটরসাইকেল জব্দ করেন। সেই সাথে অভিযান চলাকালে শত্রুদের আরও ১০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন মুজাহিদগণ।
অপরদিকে গত ২ মার্চ বৃহস্পতিবার বুরকিনা ফাসোর ওয়ারগাই এলাকায় আরও একটি অতর্কিত অপারেশন চালান মুজাহিদগণ। এই অভিযানটি বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি ছোট দলকে টার্গেট করে চালানো হয়। এতে সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক সৈন্য হতাহত হয়, যাদের মধ্যে ১ সেনার মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখেই অন্য সেনারা পালিয়ে যায়।
এই অভিযান শেষেও ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিন ২টি গাড়ি, ১টি ভারী ক্লাশিনকোভ ও ১৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করেন, আলহামদুলিল্লাহ।