কাদিয়ানি জলসা ও আলেমের জিহ্বা কর্তন কিসের ইঙ্গিত!

আব্দুল্লাহ বিন নজর

0
2036

গত ৩, ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ে মুসলিম দাবিদার কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের জলসা বা সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে সচেতন আলেম-উলামাবৃন্দের প্রচার-প্রচারণায় এবং তাওহিদী মুসলিমদের প্রতিরোধের মুখে প্রথম দিনেই কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সেই জলসা বন্ধ হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ্।

তবে এই জলসা বন্ধ করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন একজন মুসলিম, আহত হয়েছেন আরও অনেক।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে সর্বস্তরের আলেম-উলামাগণ অমুসলিম বলে ফতোয়া দিয়েছেন, যারা শেষ নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরেও গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী বলে বিশ্বাস করে ও প্রচার করে, তাদের সম্মেলন বন্ধ করতে মুসলিমদের রক্ত ঝরাতে হলো কেনো?

এর ঠিক এক দিন পরেই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওয়াজ-মাহফিলে বয়ান শেষে ফেরার পথে সুন্নি ঘারনার একজন আলেমের জিহ্বা কেটে ফেলা হয়েছে। তিনি সাধারণত ভণ্ড পীর-ফেরকার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, যারা কিনা হযরত আলী (রা:)-এর প্রতি অতিভক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে আমীরে মুয়াবিয়া (রা:) সহ অনেক সাহাবায়ে কেরামকে গালিগালাজ করে। যেহেতু এসব ভ্রান্ত ধারণা শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশি প্রচলিত, তাই ধারণা করা হচ্ছে যে, এই হামলা শিয়া মতাবলম্বীরা করে থাকতে পারে।

এখানেও সেই একই প্রশ্ন এসে যায়, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আহর মূল ধারার আলেমগণ যে ফেরকাগুলোকে সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল ফেরকা বলে ঘোষণা দিয়েছেন, তারা কী করে একজন আলেমের জিহ্বা কেটে ফেলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারে। এদেশে বাতিল ফেরকাগুলোর শেকড় কি এতই গভীরে প্রোথিত হয়ে গেছে!

কাদিয়ানী প্রসঙ্গ :

কাদিয়ানিরা তাদের কথিত ইমাম মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে একাধারে ইমাম মাহদী, প্রতীকী ঈসা এমনকি নবীজির (ﷺ) জিল্লি নবী বা ছায়া নবী বলে দাবি ও বিশ্বাস করে।

তবে সাধারণ মুসলিমদের ধোঁকা দিতে এবং নিজেদেরকে ও নিজেদের মতবাদকে সমাজে সহনশীল করে তুলতে কাদিয়ানিরা বলে থাকে, ‘আমরাও কালিমা পড়ি, নামাজ পড়ি, তবুও হুজুররা আমাদেরকে কাফের বলে কিসের ভিত্তিতে?’

অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের ভ্রান্ত ফেরকার অনুসারী ব্যতীত দুনিয়ার অন্য কোন মুসলিমকে মুসলিম বলে স্বীকার করে না! গোলাম আহমদ কাদিয়ানি তার স্বরচিত তাজকিরা নামক গ্রন্থের ৫১৯ পৃষ্ঠায় বলেছে যে, ‘আল্লাহ্ তাআলা আমার উপর স্পষ্ট করেছেন, প্রত্যেক এমন ব্যক্তি যার কাছে আমার দাওয়াত পৌঁছেছে, অথচ সে আমাকে গ্রহণ করেনি, সে মুসলমান নয়, বরণ সে কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলার কাছে পাকড়াও হবে।’

সুতরাং, সাধারণ মুসলিমদের জেনে রাখা দরকার যে, কোন প্রেক্ষাপটে কাদিয়ানিরা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পরেও উলামায়ে হাক্কানি তাদেরকে অমুসলিম সাব্যস্ত করেছেন।

গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি লিখিত গ্রন্থাবলীর সংকলন ‘রুহানি খাজায়েন’ গ্রন্থের ৫ম খণ্ডের ৫৬৪ পৃষ্ঠায় আরবিতে এবং ১৩তম খণ্ডের ১০৩ পৃষ্ঠায় উর্দুতে সে লিখেছে, “আমি আমার এক কাশফের মধ্যে দেখতে পেলাম যে, আমি নিজেই খোদা (নাউজুবিল্লাহ) এবং আমি ইয়াকিন করে নিলাম যে আমি তা-ই।”

তাহলে কাদিয়ানিরা যে লা ইলাহা ইল্লাহ বলে, তখন কি তারা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানিকেই আল্লাহ্ বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে না? (নাউজুবিল্লাহ্‌)

গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি লিখিত আরেক বই ‘এক গালতি কা ইজালা’ বাংলায় অনুবাদ করেছে এদেশের কাদিয়ানি সম্প্রদায়। অনুবাদকৃত বইয়ের ৪ পৃষ্ঠায় সূরা ফাতহের ৪ নং আয়াত উল্লেখ করে গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি লিখেছে, “এই ঐশী বাণীতে আমার নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়েছে এবং রাসুলও।”

একই বইয়ের ৫ পৃষ্ঠায় সে এই আরও লিখেছে, “মোটকথা আমিই মুহাম্মাদ ও আহমাদ হওয়ার কারণে আমার নবুওয়াত ও রিসালাত লাভ হয়েছে।”

কাদিয়ানির ছেলে বশির আহমেদ কাদিয়ানি তার ‘কালিমাতুল ফাসাল’ কিতাবের ১৫৮ পৃষ্ঠায় লিখেছে, কালিমায় ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অংশটি এজন্য যুক্ত করা হয়েছে যে, এই অংশটি বলার দ্বারা সকল নবীদের মুকুট হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর নাম উচ্চারণের দ্বারা পূর্ববর্তী সকল নবীর বিশ্বাস এখানে চলে আসবে। মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির পূর্ব পর্যন্ত যত নবী এসেছিলেন তাদের সকলের বিশ্বাস এই শব্দ দ্বারা চলে এসেছে ঠিকই, কিন্তু হ্যাঁ, মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি যখন এসে গেছে, তখন এই কালেমার অর্থের মধ্যে একটু ব্যবধান হয়ে গেছে (নাউজুবিল্লাহ)। অর্থাৎ গোলাম আহমেদ কাদিয়ানিকেও এখন এই কালিমার মধ্যে বিশ্বাস করতে হবে।

একই বইতে সে আরও লিখেছে, “মসিহে মউ’দ (গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি) নিজেই মুহাম্মাদ; তিনি ইসলাম প্রচারের জন্য দ্বিতীয়বার এসেছেন। হ্যাঁ, যদি তিনি দ্বিতীয়বার না এসে অন্য কেউ আসতেন, তাহলে নতুন কালেমার প্রয়োজন হতো।”

সুতরাং, কাদিয়ানিদের কালিমার বুঝ আর মুসলিমদের কালিমার বুঝের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট।

কাদিয়ানিকে শেষ নবী মানার ব্যপারে তারা এই যুক্তিও দেখায় যে, কোরআন-হাদিসে নাকি আছে ঈসা (আঃ) মৃত্যুবরণ করেছেন। কেয়ামতের পূর্বে একজন প্রতীকী ঈসা আসবে, আর সেটাই হচ্ছে তাদের নেতা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী।

অথচ কোরআনের বক্তব্য স্পষ্ট যে, ঈসা (আঃ) মৃত্যুবরণ করেননি, তাঁকে ক্রুশবিদ্ধও করা হয়নি, বরং তাঁকে আল্লাহ তা’আলা আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। তিনি কেয়ামতের আগে দুনিয়ায় অবতরণ করবেন ঠিক, কিন্তু নতুন কোন শরীয়ত নিয়ে নয়, বরং তিনি আসবেন রসূলুল্লাহর (ﷺ) অনুসারী হিসেবে।

এসকল বিষয়ে স্পষ্ট দলিল থাকার পরেও কাদিয়ানিরা তাদের রচিত তাফসিরে বাইবেলের সব বিভ্রান্ত ঘটনার হাওলা প্রদান করে থাকে।

হাদিসে এসেছে যে, ঈসা (আঃ) দাজ্জালকে হত্যা করবেন শামের লুদ শহরের উপকণ্ঠে।

কিয়ামতের অন্যতম বড় আলামত দাজ্জাল সম্পর্কেও তারা রাসূলুল্লাহর (ﷺ) বর্ণনার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান বর্ণনা করে থাকে। তারা বলে যে, দাজ্জাল বলতে একটা দলকে বুঝানো হয়েছে; আর হাদিসে বর্ণিত দাজ্জালের যে বাহন গাধা, সেটা নাকি রেলগাড়ি!

উপরোক্ত কারণসমূহ এবং অন্যান্য দলিল-আদিল্লা বিশ্লেষণপূর্বক কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে স্পষ্টভাবেই অমুসলিম ঘোষণা করেছেন হক্কানি উলামায়ে কেরাম। এই সম্প্রদায়ের প্রবক্তা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি নিজেকে প্রথমে ইমাম মাহদি, এরপর শেষ জামানার ঈসা, এমনকি একপর্যায়ে নিজেকে জিল্লি নবী বা ছায়া নবী বলেও দাবি করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এই সম্প্রদায়ের প্রভাব ও আস্ফালন বেড়ে গেছে অনেক। ব্রিটিশ আমল থেকেই মুসলিম দাবিদার এই অমুসলিম সম্প্রদায়ের দহরম-মহরম পশ্চিমাদের সাথে বেশি। গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি তো নিজের বইয়েই নিজেকে ব্রিটিশ সরকারের একান্ত অনুগত বলে দাবিও করেছিল।

কাদিয়ানিদের এসব প্রতারণাপূর্ণ দাবির সাথে সুরে সুর মিলিয়ে সম্মানিত উলামায়ে দ্বীনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মিশন জোরে শোরে চালিয়ে যাচ্ছে কথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরাও। কথিত সেক্যুলার বুদ্ধিজীবী মহল, বাম ধারার নাস্তিক ও ইসলামবিদ্বেষীরা সরাসরি কাদিয়ানীদেরকে সমর্থন প্রদান করে থাকে।

এভাবে কথিত সেক্যুলার সমাজ এক ঢিলে একাধিক পাখি শিকারের প্রয়াশ চালায় :

– প্রথমত, তারা ঈমান ও কুফরের পার্থক্যের সীমারেখাকে ধোঁয়াশাময় করে দিতে চায়।
– দ্বিতীয়ত, তারা আলেম সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সাধারণ মুসলিমদের সাথে হক্কানি আলেমদের দূরত্ব সৃষ্টি করতে চায়।
– তৃতীয়ত, ভ্রান্ত কাদিয়ানিদেরকে তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।

ইতোমধ্যে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি জলসাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-মুসল্লি সংঘর্ষে সৃষ্ট অরাজকতার ঘটনায় অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে হাজারোর্ধ্ব মুসলিমকে, আর গ্রেপ্তার করা হয়েছে শত শত।
অসুস্থ হয়ে ঘরে অবস্থান করছেন, গ্রেপ্তারকৃত ভাইকে থানায় নাস্তা দিতে গেছেন কিংবা এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক, অথবা ঘটনার পরে ঐ এলাকায় বেড়াতে এসেছেন – এমন অনেক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে প্রশাসন।

আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সাথে কাদিয়ানিদের সম্পর্ক ও যোগাযোগ আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। এখন দেখা যাচ্ছে দেশের প্রশাসনের ভেতরেও তাদের শিকড় অনেক দূর পৌঁছে গেছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অর্থ ও পেশীশক্তি।


এবার, সমাজে সুন্নিপন্থী বলে পরিচিত বেরলবি ঘরনার আলেম শরিফুল ইসলাম নূরীর (হাফি.) জিহ্বা কেটে ফেলার ঘটনার দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক।

এই ঘটনার প্রভাবও অনেক। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে ৮ মার্চ। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, ওয়াজ পছন্দ না হওয়ায় এই কাজ করেছে তারা।

নির্যাতিত এই আলেমে দ্বীন ছিলেন ভ্রান্ত শিয়া আকিদার বিরুদ্ধে সোচ্চার। হযরত আলীর (রা:) প্রতি অতিরিক্ত ভক্তি প্রদর্শন করার আড়ালে যেসকল কথিত পীর-ফকিরেরা সাধারণ মুসলিমদেরকে অন্ধকারে রেখে শিয়া মতবাদ প্রচার করে যাচ্ছিল, তাদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বজ্রকণ্ঠ।

তাছাড়া যে মাহফিল থেকে ফেরার পথে তাঁর উপর আক্রমণ হয়েছে, সেই মাহফিলেও তিনি ভ্রান্ত শিয়া মতবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করেছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এমন অনেক ভণ্ড পীর আছে, যারা বলে যে, তাদের ও তাদের মুরিদদের নামাজ-রোজা লাগে না, সুন্নতি লেবাস দরকার হয় না, ইত্যাদি। গভীরে ঘেঁটে দেখা গেছে যে, এরা আড়ালে শিয়া মতবাদসহ নানা ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে থাকে। এমনকি জনগণের ধর্মভীরুতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে কৌশলে খ্রিস্টবাদ প্রচার করছে এমন অনেক কথিত পীরকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
এখন এই বাতিলপন্থীরা এতোটাই শক্তি সঞ্চার করেছে যে, তারা হক্ব কথা প্রচার করার কারণে আলেমদের জিহ্বা কর্তন করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে প্রকাশ্যে।

শিয়া মতবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমের সম্মান রক্ষার পক্ষে দৃঢ় অবস্হান গ্রহণ করে নির্যাতিত হওয়ায়, এ মাজলুম আলেমের পক্ষে কথা বলেছেন এ দেশের হক্বপন্হী উলামাদের সবচেয়ে বড় ঘরানা দেওবন্দ মাসলাকের অনেক আলেম। জনাব নূরীর এ সাহসিকতা, সততা ও আত্মত্যাগকে প্রশংসা ও সহমর্মিতার দৃষ্টিতে দেখছেন তাঁরা। খতমে নবুওয়ত, শানে সাহাবার মতো মৌলিক ইস্যুগুলোতে পরস্পর সহযোগিতা ও সহমর্মিতার সাথে কাজ করলে বিভিন্ন শাখাগত মতপার্থক্য থাকা সত্তেও আহলুস সুন্নাহর সকল মাসলাক পরস্পর দূরত্ব কমিয়ে আরো কাছাকাছি আসতে পারবে, সেক্যুলারিজম, কাদিয়ানী ও শিয়া মতবাদের বিরুদ্ধে আরো কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকগণ।

শানে সাহাবার বিরুদ্ধে অপপ্রচার মুসলমানদের দ্বীন ও ঈমানের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর।
তা ছাড়া, যে কোন স্হানেই শিয়াদের উপস্হিতি ও তৎপরতা বেড়ে যাওয়া আহলুস সুন্নাহর জন্য বিপদজনক, এবং সেক্যুলারদের জন্য সুবিধাজনক। ইতিহাসে শিয়াদেরকে বারবারই আহলুস সুন্নাহর বিরুদ্ধে গিয়ে কাফেরদের পক্ষেও মিত্রতা করতে দেখা গেছে।

সে জন্যই ইরান সবসময়ই চেষ্টা করে এসেছে সুন্নী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে শিয়া দাওয়াত ছড়িয়ে শিয়া মতবাদের সফটপাওয়ার তৈরী করতে।
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশেও শিয়া মতবাদের প্রচার-প্রসারে ইরানী দূতাবাসকে তৎপর দেখা গিয়েছে।

আবার, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লুটতে এবং আহলুস সুন্নাহকে আরো দূর্বল করতে সেক্যুলার স্ট্যাবলিশমেন্ট ও পার্শ্ববর্তী দেশের পৃষ্ঠপোষকদের সমন্বিত সহযোগিতা আছে কি না সে আশংকাও উড়িয়ে দেওয়া যায়না।
কমপক্ষে, শিয়াদেরকে নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সেক্যুলারিজম সবসময়ই করে দিয়েছে।

উভয় ঘটনার পেছনে কারণ যাই হোক, ঘটনাগুলো আমদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কতটা বাস্তব রূপ লাভ করেছে। অন্যদিকে, এদেশের ইসলামপ্রিয় মুসলিমরা ও হক্কপন্থী উলামাগণ কতটা কোণঠাসা ও অসহায় অবস্থায় আছেন, সেটাও এখন স্পষ্ট।

এমতাবস্থায় করণীয় কী তা সাধারণ মুসলিমদেরকেই ঠিক করতে হবে সচেতনতার সাথে, শত্রু-মিত্র চিনে নিতে হবে দ্রুত। নিজেদের ঈমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় দাওয়াতি তৎপরতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরক্ষা শক্তি অর্জনের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে দেখা দিচ্ছে দিন দিন।



 

তথ্যসূত্র :
———-
১। কাদিয়ানীকে বিশ্বাস না করা সকল মুসলিমকে কাফের ঘোষণা
https://tinyurl.com/yvdhn7v5
২। কাদিয়ানীদের কালিমা ও মুসলমানের কালিমার মধ্যে পার্থক্য কি ?
https://tinyurl.com/4jxh3e8a
৩। নিজেকে খোদা দাবি মির্জা আহমদ কাদিয়ানির! উর্দু বই খুলে দেখালেন মুফতি রাহমানি!
https://tinyurl.com/24zb7dra
৪। কাদিয়ানী নিজেকে নবীজির (সাঃ) স্থানে বসিয়েছে –
https://tinyurl.com/mkt9bzyt
৫। দাজ্জাল নিয়ে কাদিয়ানী নেতার ভ্রান্ত মতবাদের জবাব
https://tinyurl.com/yjmxk9kb
৬। ঈসা (আঃ)-কে মৃত প্রমাণ করতে বাইবেলের বর্ণনার হাওলা দেয় কাদিয়ানীরা
https://tinyurl.com/2979t4xa
৭। ঈসা (আঃ) প্রসঙ্গে কাদিয়ানীদের বিভ্রান্তি
https://tinyurl.com/j5nxwzfd
৮। পঞ্চগড়ে গ্রেফতার আতঙ্ক; অপরাধীদের বদলে নিরীহদের ধরছে পুলিশ!
https://tinyurl.com/mr3vupcj
৯। আরেক বাতিল ফেরকা হিজবুত তাওহীদের কাদিয়ানীদের প্রতি সহমর্মিতা
https://tinyurl.com/mt37kjy8
১০। শিয়া কর্তৃক হামলার শিকার
https://tinyurl.com/3nmnrmay
১১। ইসলামী বক্তার জিহ্বা কেটে নেয়ার পর সর্বশেষ অবস্থা
https://tinyurl.com/bdpe5hvj
১২। ইসলামী বক্তার জিহ্বা কাটা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
https://tinyurl.com/vdztmttb

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবুরকিনান শিবিরে আল-কায়েদার জোরালো আঘাত : নিহত ৯, গণিমত ২টি গাড়ি ও ৭৫টি বাইক
পরবর্তী নিবন্ধরমাদান উপলক্ষে আরোপিত সৌদি বিধিনিষেধ কী বার্তা দিচ্ছে?