পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে দেশটির পশ্চিমা সমর্থিত সরকার। এর মধ্যেই শাবাব যোদ্ধারা পশ্চিমা সমর্থিত সামরিক বাহিনীর ৩টি ঘাঁটি লক্ষ্য করে একযোগে সুইপিং অপারেশন পরিচালনা করেছেন। এতে সোমালি বাহিনীর অন্তত ২০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত ২৬ আগস্ট ভোরে, কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার জালাজদুদ (galgudud) রাজ্যের আসওয়াইনী (عوسويني) শহরে ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন আশ-শাবাব যোদ্ধারা। অভিযানটি এই অঞ্চলে পশ্চিমা সমর্থিত এবং ইথিওপিয়া, তুরস্ক, এবং উগান্ডায় প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের ৩টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
প্রথমে, বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি দ্বারা শহিদী অপারেশনের মাধ্যমে অপারেশনটি শুরু হয়। এরপর শাবাবের ইনগিমাসী যোদ্ধারা এবং তাদের সমর্থনে এগিয়ে আসা স্থানীয় ৩টি গোত্রের সশস্ত্র যোদ্ধারা ঘাঁটিগুলোতে চতুর্মূখী আক্রমণ শুরু করেন। এ অভিযানের সময় ঘাঁটিগুলোতে সোমালি সামরিক বাহিনীর প্রায় ১৫০০ সৈন্য অবস্থান করছিল বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক এক বিবৃতিতে আশ-শাবাবের সামরিক নেতৃত্ব জানিয়েছে যে, মুজাহিদগণ অল্প সময়ের মধ্যেই ৩টি সামরিক ঘাঁটির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। অভিযানে মুজাহিদদের হাতে শত্রু বাহিনীর অন্তত ২০০ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং সামরিক বাহিনীর আরও বড় একটি অংশ আহত হয়েছে।
অভিযান শেষে মুজাহিদগণ শত্রু বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিগুলোতে থাকা সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেছেন। এর মধ্যে অনেক সাঁজোয়া যান, ভারী মেশিনগান বোঝাই সামরিক যান, প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে।
মোগাদিশুর প্রাক্তন মেয়র জানিয়েছে, হারাকাতুশ শাবাব এই অভিযানে যেসব যান দখল করেছে, তারমধ্যে তুরস্কের দেওয়া অত্যাধুনিক সাঁজোয়া যানই রয়েছে ১৮টি। তার ভাষ্যমতে, এই অভিযানে যা ঘটেছে তা সোমালি সেনাবাহিনীর ইতিহাসে কখনও ঘটেনি।
উল্লেখ্য যে, জালাজদুদ (galgudud) রাজ্যের এই আসওয়াইনী (عوسويني) শহরটি গত ৩দিন আগে হারাকাতুশ শাবাব খালি করে চলে যায়। এতে সোমালি সৈন্যরা কোনো যুদ্ধ ছাড়াই শহরটির দখল নেয় এবং বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে। বিজয়ের এই আনন্দে শাবাব নিয়ন্ত্রিত আরও এলাকা দখল করতে এখানে তারা আরও অনেক সৈন্য সমাবেশ ঘাটায় এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিশাল ভান্ডার মজুদ করে।
এরপরই শহরটিতে শাবাব যোদ্ধারা তাদের পুরোনো কৌশলে পাল্টা সুইপিং আক্রমণ শুরু করে। ফলশ্রুতিতে সোমালি বাহিনী এতো বিশাল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। স্থানীয় সূত্রমতে, পালানোর সময় তারা এখান থেকে ভারী কোনো অস্ত্র বা অক্ষত একটি গাড়িও নিয়ে যেতে পারেনি।
আলহামদুলিল্লাহ 🤲🤲🤲🤲🤲
الهم إنا نسألك خير هذا اليوم فتحه و نصره و نوره و بركته، و نعوذبك من شرما فيه و شر ما بعده