ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান পাকিস্তান-ফেরত শরণার্থীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নিজেদের সর্বোচ্চ আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আফগান ফেরত শরণার্থীদেরকে গ্রহণ, তাদের জন্য পরিবহণ, বাসস্থান নিশ্চিতকরণ এবং সামর্থবানদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য পাকতিয়া, হেরাত সহ কয়েকটি প্রদেশ ও এলাকায় ইমারতে ইসলামিয়ার আলাদা আলাদা কমিশন কাজ করছে।
পাকিস্তান সীমান্তের তোরখাম, স্পিন বোল্ডাক ও তুরখামের মতো সীমান্ত বন্দরগুলো দিয়ে আগত শরণার্থীদের গ্রহণ ও নিবন্ধনের কাজ করছে ‘নিবন্ধন, নিশ্চিতকরণ ও অভ্যর্থনা কমিটি’।
শরণার্থীদেরকে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে পরিবহণ ও স্থানান্তর কমিটি।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি শরণার্থীদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভাল করছে। এই কমিটির অধীনে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ নামের আলাদা একটি বিভাগও আগত শরণার্থীদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি সার্বিক কার্যক্রমের অর্থ সংক্রান্ত বিষয়াদি তদারকির পাশাপাশি আগত শরণার্থীদেরকে প্রয়োজন অনুযায়ী নগদ অর্থ সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে।
মসজিদ ও শিক্ষা আয়োজক কমিটির কাজ হচ্ছে শরণার্থীদের ক্যাম্প ও বসতিগুলোতে সংস্কারমূলক ও ধর্মীয়শিক্ষা মূলক সভা ও বক্তৃতার মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা।
আর অভিবাসী কর্মসংস্থান কমিটি আগত শরণার্থীদের মধ্যে থেকে শিক্ষিত ও ডিগ্রিধারীদের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছে, যাতে করে পরবর্তীতে তাদেরকে নিজ নিজ মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজে নিয়োগ করা যায়।
তথ্য ও জনসচেতনতা কমিটি নামের একটি কমিটি কাজ করছে আগত শরণার্থীদের মাঝে সচেতনতা ও তাদের সম্পর্কে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে। সেই সাথে তারা সংবাদ ও তথ্যচিত্র তৈরিতে গণমাধ্যমকে সহযোগিতাও করেছেন। তারা উদ্বাস্তুদের নানান সমস্যা সম্পর্কে জেনে সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সামর্থ্যবান ও সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরছে।
এভাবে আগত শরণার্থীদের গ্রহণ ও তৎসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে উপরোক্ত কমিটিগুলো। আর এর মাধ্যমে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষ সার্বিক শরণার্থী ব্যবস্থাপনা সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অনন্য নজির স্থাপন করে যাচ্ছেন।