
• শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।
• মিশর জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিকালীন দৈনিক ১৩০,০০০ লিটার ডিজেল এবং ৪ ট্রাক গ্যাস গাজায় প্রবেশ করতে পারবে। দৈনিক ২০০ সাহায্যবাহী ট্রাকও গাজায় প্রবেশ করবে।
• একজন ইসরায়েলী বন্দীর বিনিময়ে ৩ জন ফিলিস্তিনী নারী ও শিশু (১৯ বছরের কম বয়সী যারা) মুক্তি পাবেন। যুদ্ধবিরতির ৪ দিনে মোট ৫০ ইসরায়েলী নারী ও শিশুর বিনিময়ে ১৫০ জন ফিলিস্তিনী নারী ও শিশু মুক্তি পাবেন।
• প্রথম ধাপে শুক্রবার বিকাল ৪টায় ইসরায়েল ২৪ জন ফিলিস্তিনী নারী এবং ১৫ জন কিশোরকে মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছে। এই ৩৯ জনকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
• সন্ত্রাসী দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শুরু করার আগ মুহূর্তে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ২৭ জনকে হত্যা করেছে।
• যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে আগেই পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলের কারাগারে ৭২০০ জন ফিলিস্তিনী বন্দী হয়ে আছেন।
• আল-জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চলাকালীন উত্তর গাজায় ফিরে আসতে চাওয়া ফিলিস্তিনী সাধারণ মানুষের উপর গুলিবর্ষণ করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন।
• যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।
• এক মার্কিন সামরিক অফিসার রয়টার্সকে বলেছে, সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত চারটি মার্কিন ঘাঁটি রকেট ও সশস্ত্র ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে।
• গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা এর পরিচালক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়াকে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলী বাহিনী।
• ৭ই অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৬১৫০ জন শিশু এবং প্রায় ৪০০০ জন নারী রয়েছে।
• অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আশ্রয় নেওয়া এই শরণার্থীদের মধ্যে ১৯১ জন আবার সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৯৮ জন। গাজার অর্ধেকের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
• উত্তর গাজায় যুদ্ধের আগে ২৪টি হাসপাতাল কার্যক্রম চালাতো। এখন ২২টি হাসপাতালই বন্ধ হয়ে গেছে অথবা নতুন রোগী ভর্তি করার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। আর দক্ষিণ গাজার ১১টি মেডিকেল সেন্টারের মধ্যে বর্তমানে ৮টি কার্যকর রয়েছে।
• জ্বালানি, পানি, গমের অভাবে কোনো বেকারিই এখন আর কার্যক্ষম নেই। এমনকি এদের অনেকগুলোতে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বোমা হামলায় কাঠামোগত ক্ষতির সম্মুখীনও হয়েছে ।