দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহরে ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। অঞ্চলটিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেবলমাত্র ২টি প্রতিরোধ বাহিনীর অভিযানেই অন্তত ৭৯ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত এবং ২৪টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে। উক্ত প্রতিরোধ বাহিনী দুটি হলো আল-কাসসাম ব্রিগেড এবং আল-কুদস ব্রিগেড।
এরমধ্যে গত ২ ফেব্রুয়ারি অঞ্চলটির আল-জাওজাত এলাকায় আল-কাসসামের অ্যাম্বুশে ১৫ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কতক সৈন্য আহত হয়। এই অভিযানে আল-কাসসামের ৩টি “আল-ইয়াসিন-১০৫” রকেট ও মর্টারের আঘাতে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৩টি ট্যাংক এবং ১টি সামরিক যান ধ্বংস হয়ে যায়।
অপরদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি, খান ইউনুসের পূর্বে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি দলকে টার্গেট করে অ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন বিস্ফোরণ ঘটান আল-কাসসাম যোদ্ধারা। এতে অন্তত ৭ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয়।
আর গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় অঞ্চলটির “আবসান আল-কাবিরা” এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি দলের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন আল-কাসসাম মুজাহিদিন। এসময় তাঁরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ১১ জায়োনিস্ট সৈন্যকে হত্যা করতে সক্ষম হন।
আল-কাসসাম যোদ্ধারা উক্ত ৩টি অভিযানের পাশাপাশি “মুজাহিদ ব্রিগেড”-এর সাথে একটি যৌথ সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন। সেখানে আরও ৭ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তাদের যোদ্ধাদের পরিচালিত এধরণের আরও কয়েকটি অ্যাম্বুশে আরও প্রায় ২২ জনের বেশি জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়েছে।
আল-কাসসাম যোদ্ধারা উক্ত অ্যাম্বুশগুলো ছাড়াও জায়োনিস্ট বাহিনীর আরও ৭টি ব্যাটালিয়নকে তাদের সামরিক অবস্থান, ভবন ও টানেল প্রবেশকালে সফল লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। এতে আরও কয়েক ডজন জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়েছে এবং ১৭টিরও বেশি ট্যাংক ও সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে।
অপরদিকে আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে তাদের প্রতিরোধ যোদ্ধারা খান ইউনুসে জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে ৫টি অভিযান পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি খান ইউনুসের হায়াত স্কুলের কাছে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি দলকে টিবিজি রকেট দ্বারা সফলভাবে টার্গেট করেন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই ৭ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কতক সৈন্য আহত হয়। অপরদিকে আল-হাওজা এলাকায় একটি বাড়িতে অবস্থান নেওয়া জায়োনিস্ট সৈন্যদের বিরুদ্ধেও একটি সফল অ্যাম্বুশ করেন আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা। এতে অন্তত ১০ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়।
আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, তারা এই অভিযানগুলো ছাড়াও জায়োনিস্ট বাহিনী ও তাদের ১০টি অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং মর্টার শেল দ্বারা হামলা চালিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে জায়োনিস্ট বাহিনীর কয়েক ডজন সৈন্য হতাহত এবং ৪টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে।