গত ১৮ মার্চ আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা খোস্ত ও পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। এর ফলে নিহত হয় নারী-শিশুসহ ৮ জন আফগান নিরীহ মুসলিম।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রতি ইমারতে ইসলামিয়া সরকার কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করে। পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে জোরালো জবাবি হামলা চালায় ইমারতে ইসলামিয়ার সেনাবাহিনী। ইসলামি বাহিনীর পাল্টা হামলার ফলে বর্তমানে পাক সীমান্তে এলাকা থেকে এখন আর কোন গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পাক বাহিনী যে কোন সময় ফের হামলা চালাতে পারে, এ জন্য এখনও সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে ইমারতে ইসলামিয়ার সেনাবাহিনী।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ২০ মার্চ সশস্ত্র বাহিনীর উপপ্রধান মালি খান সাদিক হাফিযাহুল্লাহ আফগান সীমান্ত এলাকা পাকতিকা প্রদেশে সফর করে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। উক্ত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি বিভিন্ন চেকপোস্ট ও সীমান্তে অবস্থানরত ইসলামি বাহিনীর সদস্যদের সাথে দেখা করেন।
সশস্ত্র বাহিনীর উপপ্রধান মালি খান সাদিক হাফিযাহুল্লাহ এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে আমাদের ভূখণ্ডের কোনও এলাকা হুমকির মুখে পড়লে আমাদের সুদক্ষ বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকবে না, বরং তাৎক্ষণিকভাবে এর জবাব দেবে।’
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান, দিন দিন যার পরিধি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন।
কিন্তু জাতিসংঘসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো বিশ্ববাসীর সম্মুখে ইমারতে ইসলামিয়াকে বিতর্কিত করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে এসব অপপ্রচারে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন কথিত নারী অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে।
আর ঠিক এই সময় আফগান যুদ্ধে পশ্চিমাদের প্রধান সাহায্যকারীর ভূমিকা পালন করা পাকিস্তান সামরিক বাহিনী, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুজাহিদিনগণকে আশ্রয় দেয়ার কথিত অভিযোগ তুলে ইমারতে ইসলামিয়াকে বিতর্কিত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এ হীন চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম নারী-শিশুদের রক্ত ঝরাল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।
তথ্যসূত্র:
1. Deputy Chief of Staff of Armed Forces Visits Paktia Province
– https://tinyurl.com/46ddb53f