স্বাভাবিকের চেয়েও অধিক দ্রুতগতিতে চলছে কুশতেপা খাল খনন প্রকল্পের কাজ

0
250

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম খাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে আফগানিস্তানের কুশতেপা খাল। এটি খনন কাজের প্রথম পর্যায় ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ পুরো দমে চলমান আছে। বর্তমানে বালাখ ও জাওযান প্রদেশের ২০টি স্থানে খনন কাজ চলছে। খাল খনন কাজের দ্বিতীয় পর্যায় বালাখ প্রদেশের দাওলাত আবাদ জেলা থেকে আরম্ভ হয়েছিল। আর এখন জাওযান প্রদেশের চাহি বালাখ, আকচা, খানকা ও খাজা দুকহ জেলায়ও কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ১৭৭ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাইদ জাবিহুল্লাহ মীরি হাফিজাহুল্লাহ সম্প্রতি তথ্যগুলো সরবরাহ করেন।

উক্ত মেগা প্রকল্পের কাজ পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন জাতীয় উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ। কাজের গতি স্বাভাবিকের চেয়েও অধিক দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে। তাই নির্ধারিত সময়ের অনেক পূর্বেই উক্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

কুশতেপা খাল প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ বালাখ প্রদেশের কালদার জেলা থেকে শুরু হয়েছিল। এই জেলায় অবস্থিত আমু নদী, খালের পানির প্রধান উৎস। অতঃপর খালটি বালাখ প্রদেশের হাইরাতান, দাওলাত আবাদ ও চাহি জেলা অতিক্রম করে জাওযান প্রদেশে প্রবেশে করেছে। তারপর জাওযান প্রদেশের আকচা, খানকা ও খাজা দুকহ জেলার শুষ্ক সমভূমি অতিক্রম করেছে। অবশেষে ফারিয়াব প্রদেশের আন্দখই জেলায় সমাপ্ত হবে। খালটির সর্বমোট দৈর্ঘ্য ২৮৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১০০ মিটার। এটির গভীরতা ৮ মিটার। এটির সর্বমোট নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ৬০ বিলিয়ন আফগানি। দেশের রাজস্ব বাজেটের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত অসংখ্য কৃষক ও দিন মজুর এই খাল থেকে উপকার ভোগ করবে। তাই কুশতেপা খাল খনন কাজে তারাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর একটি প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করছেন সম্ভাব্য উপকার ভোগী কৃষক সম্প্রদায়। এতে কৃষিজাত ফসল বিশেষত গম উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন জাওযান প্রদেশের কৃষকগণ। উৎপাদিত গম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন হবে ইনশা আল্লাহ।

প্রকল্পটি কার্যকর হলে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় সাড়ে ৬ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি খালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে। বালাখ ও জাওযান প্রদেশের প্রায় ৩ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমি সেচের আওতায় আসবে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইমারতে ইসলামিয়া কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সমাজ।


তথ্যসূত্র:
1. Construction of Second Phase of Qush Tepa Canal Underway in Full Swing
https://tinyurl.com/3jwuvvw4
2. 2nd Phase of Work on Qosh Tepa Canal Begins: Officials
https://tinyurl.com/54d2edvr

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধদারসে রমাদান || দারস-৯ || সালামের প্রচার-প্রসার
পরবর্তী নিবন্ধমোগাদিশুতে শাবাবের একদিনের অভিযানে ৪৯ সেনা হতাহত