কেনিয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দেশটির ক্রুসেডার বাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন করে ৩টি অভিযান চালানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাব। এতে অন্তত ১১ কেনিয়ান সেনা নিহত এবং আরও ৯ এরও বেশি সেনা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য অনুসারে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন গত ২৪ মার্চ, কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মান্দিরা ও লামু রাজ্যে ২টি পৃথক অপারেশন চালিয়েছেন। এরমধ্যে লামু রাজ্যে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানটি সিবাগুনি এলাকায় চালানো হয়। এলাকাটিতে রাতভর হারাকাতুশ শাবাব ও কেনিয়ান “কেডিএফ” সৈন্যদের মাঝে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়। একপর্যায়ে কেনিয়ান বাহিনী তাদের ৩ সদস্যের মৃত দেহ ফেলে রেখেই এলাকাটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ এলাকাটির উপর নিয়ন্ত্রণ নেন।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন মান্দিরা রাজ্যের শেখ-বুরু এলাকায়। অভিযানটি এই এলাকায় কেডিএফ সৈন্যদের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। ফলশ্রুতিতে অনেক কেডিএফ সৈন্য হতাহত হয়। সেই সাথে ঘাঁটির বিভিন্ন স্থান ধ্বংস ও আগুনে পুড়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেনিয়ান বাহিনীর অনেক সামরিক সরঞ্জাম।
একই রাজ্যে গত ২৫ মার্চ সোমবার সকালে আরও একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। অভিযানটি কেনিয়ান সেনাদের সমাবেশস্থল লক্ষ্য করে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের বিস্ফোরণ ও কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর মাধ্যমে চালানো হয়। এতে অন্তত ১১ কেনিয়ান সেনা নিহত এবং আরও ৮ সৈন্য আহত হয়।
উল্লেখ্য যে, হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কেনিয়ায় হামলার প্রবণতা বাড়িয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে শাবাব মুজাহিদগণ কেনিয়ান সরকার ও সেনা বাহিনীর অন্তর্গত কেন্দ্র, যোগাযোগ লাইন এবং লজিস্টিক রুটগুলিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে, কেনিয়ার মান্দিরা রাজ্যের গভর্নর আলি রোবা বলেছিল যে, উত্তর কেনিয়ার অর্ধেক ভূমি আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকান শাখা হারাকাতুশ শাবাব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
আর গত ২০২৩ সালের জুলাইয়ে মান্দিরা রাজ্যের নতুন গভর্নর, মোহাম্মদ আদান খলিফ বলেছিল যে, মান্দিরার ৬০ শতাংশ অঞ্চল আশ-শাবাব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।