গাজায় জায়োনিস্ট ইসরায়েলী বাহিনীর আগ্রাসনের ৯ মাস পূর্ণ হয়েছে। আর এই উপলক্ষে গত ৭ জুলাই সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দাহ একটি ভিডিও বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
ভিডিও বিবৃতিতে আবু ওবাইদাহ জানান, ইহুদিবাদী নৃশংসতার প্রতিক্রিয়ায় শুরু হওয়া তুফানুল-আকসা অপারেশনের মাধ্যমে আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা আগের চাইতে আরও বেশি বিচক্ষণ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। তারা প্রতিটি ফ্রন্ট লাইনে শত্রু বাহিনীর ভারী ক্ষতিসাধন করছেন।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিম তীর, আল-কুদস এবং গাজা উপত্যকায় দখলদার বাহিনীর অপরাধ সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিক মানুষকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে এবং হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ এবং উপাসনালয়কে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে। আর জায়োনিস্ট বাহিনীর এই নৃশংস অপরাধের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা বিগত ৯ মাস ধরে বাহ্যিক কোনো সাহায্য ছাড়াই লড়াই করে আসছেন। বিপরীতে জায়োনিস্ট বাহিনীকে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
তথাপি আল-কাসসামের ২৪টি সামরিক ব্রিগেড এবং অন্যান্য সমস্ত প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো গাজা জুড়ে শত্রুদের সাথে এখনো বীরত্বের সাথে লড়াই করছেন। তারা প্রতিনিয়ত শত্রুদের ভারী ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছেন। সেই সাথে আল-কাসসাম ব্রিগেডে এই যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার প্রতিরোধকারী যোগ দিয়েছেন।
সর্বশেষ আল-কাসসাম মুখপাত্র জায়োনিস্ট বাহিনীকে লক্ষ্য করে বলেন, “গৌরব ও বীরত্বের ভূমি গাযায় তোমাদের জন্য কোনো জায়গা নেই, না অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত সৈন্যদের জন্য, না হারতে বসা একটি যুদ্ধে ভাড়ায় লড়াই করা ভাড়াটে সৈন্যদের জন্য, না চোরের মতো বেসামরিক বাড়িতে লুকিয়ে থাকা বাহিনীর জন্য, আর না সাঁজোয়া যানের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সামরিক অফিসারদের জন্য। কেননা তোমাদের সবাইকে এই ভূমিতে হত্যা করা হবে, শরীরগুলো ক্ষতবিক্ষত করা হবে, যতক্ষণ না তোমরা নিজেরাই এই ভূমি থেকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দৌড়ে পলায়ন কর।