আল-কায়েদার সাথে যুক্ত সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা বুরকিনা ফাসোর কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একটি বড়ধরণের সামরিক অপারেশন চালিয়েছেন। এতে বুরকিনান জান্তা ও ভিডিপির অন্তত ৩৯০ সদস্য হতাহত হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট শনিবার সকালে, দেশটির কায়া রাজ্যের কেন্দ্রীয় কৌশলগত শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরের বারসালোঘো শহরে এই অভিযানটি চালানো হয়। সামরিক এই অপারেশনে অংশ নেন প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ এর কয়েক শতাধিক মুজাহিদ, যারা সকাল ৯টা থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত টানা ৬ ঘন্টা যাবৎ অপারেশনটি পরিচালনা করেন। এসময় জান্তা বাহিনীর সহায়তায় মুজাহিদদের প্রতিহত করতে তুরস্কের বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনগুলো হামলায় অংশ নেয়, কিন্তু এতেও কোনো সফলতা অর্জন করতে পারেনি জান্তা বাহিনী।
ফলশ্রুতিতে মুজাহিদদের এই অপারেশনে জান্তা ও ভিডিপির ২৫০ সদস্য নিহত এবং আরও ১৪০ সদস্য আহত হয়। এছাড়াও আরও বহু সংখ্যক সৈন্য নিখোঁজ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।
প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, জান্তা বাহিনীর পলায়নের পর মুজাহিদগণ কায়া রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ শহর বারসালোঘো’র সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এসময় মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে অসংখ্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেন, যেগুলো একটি গাড়ি বুঝাই করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
বুরকিনান সেনাবাহিনীর (জান্তা) এমন এক সময় আল-কায়েদার এই দুঃসাহসী অভিযানের শিকার হয়, যখন সেনাবাহিনী তাদের সামরিক ফাঁড়িগুলো রক্ষার জন্য পরিখা খনন করছিল। একইসাথে বারসালোঘো শহরকে ‘জেএনআইএম’ নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে শহরের রাস্তাগুলো কেটে দিচ্ছিল।
উল্লেখ্য যে, বুরকিনা ফাসো সেনাবাহিনী শুক্রবারই জানতে পেরছিল যে, জেএনআইএম মুজাহিদগণ বারসালোঘো শহরে একটি বড়ধরণের আক্রমণ চালাতে যাচ্ছেন। ফলে সেনাবাহিনী কায়া রাজ্য থেকে অতিরিক্ত সেনা এবং ভিডিপি সদস্যদের এনে শহরটিতে দ্রুত পরিখা খনন করতে শুরু করে। কিন্তু আল-কায়েদা মুজাহিদগণ যে এতো দ্রুতই শহরটিতে আক্রমণ চালাবেন, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি বুরকিনান জান্তা প্রশাসন।