
আফগানিস্তানে পশ্চিমা সমর্থিত বিগত পুতুল প্রশাসন পরাজয়ের মুহূর্তে দেশীয় তাগুত বাহিনীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তখন আফগান বিমান বাহিনীর পাইলট ও কর্মীদের অনেকেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টারসহ পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যায়। এই সময় তারা প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানে আশ্রয় নেয়। তখন প্রায় ৪৬টি সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার উজবেকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়। এছাড়া আরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সরঞ্জামাদি তাজিকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়। যা ছিল মূলত আফগানিস্তানের জাতীয় সম্পদ।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই এই সামরিক সম্পদগুলো দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে প্রতিবারই বাঁধাগ্রস্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এই ইস্যুতে উজবেক-আমেরিকা সরকার একটি সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে বলে জানায় উজবেকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জোনাথন হেনিক। সে জানায়, উক্ত সামরিক হেলিকপ্টার ও বিমান উজবেক সরকারকে একটি চুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে।
এর বিপরীতে তীব্র ক্ষোভ ও আপত্তি ব্যক্ত করেছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি হাফিযাহুল্লাহ বলেন, এই সামরিক যানসমূহের মালিকানা বাজেয়াপ্ত করার কোনো অধিকার নেই মার্কিন সরকারের, তারা উজবেক সরকারকে তা হস্তান্তর করার ক্ষমতা রাখেন না।
পাশাপাশি এই ধরনের কোন চুক্তিতে সম্মত না হতে উজবেক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়, এই সামরিক হেলিকপ্টার ও বিমান আফগান জনগণের সম্পত্তি। উজবেক সরকার প্রতিবেশী দেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য যে, তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে আফগান বিমান বাহিনীতে ১৬৪টি সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে দেশে রয়েছে কেবল ৮১টি।
তথ্যসূত্র:
1. Islamic Emirate Objects to US-Uzbekistan Deal on Afghan Helicopters
– https://tinyurl.com/5hfnudx4