আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের কয়েকটি দেশে জোরদার সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’। সেই ধারাবাহিকতায় গত আগস্ট মাসে মালিতে অন্তত ২৮টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন দলটির মুজাহিদগণ।
আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম আয-যাল্লাকা কর্তৃক প্রকাশিত ৩১টি বিবৃতি থেকে জানা যায়, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদগণ গত আগস্ট মাসে মালির ৮টি রাজ্যে অন্তত ২৮টি অপারেশন পরিচালনা করেছেন। এসকল অভিযানের ১১টিই চালানো হয়েছে রাশিয়ার ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনী ‘ওয়াগনার’ এর বিরুদ্ধে, বাকি ১৭টি অভিযান চালানো হয়েছে মালির জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে মুজাহিদগণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন ৩টি এলাকা ও ৩টি সামরিক ঘাঁটি। বিজিত এলাকাগুলো হচ্ছে: গাও রাজ্যের ওয়াবারী এলাকা, মোপ্তি রাজ্যের কোয়াকোর এলাকা এবং গোসী রাজ্যের আল-বোয়াবাহ এলাকা। সেই সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাইস রাজ্যের ৩টি সামরিক ঘাঁটিও মুজাহিদগণ নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
আয-যাল্লাকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মাসে মুজাহিদদের মাত্র ৪টি অভিযানেই শত্রু বাহিনীর অন্তত ২৫ সদস্য নিহত এবং আরও ২ সদস্য আহত হয়েছে। এসময় ২ জন মুজাহিদও শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেছেন।
‘জেএনআইএম’ মুজাহিদদের বাকি ২৪টি অভিযানে আরও কত ডজন শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে, তা অনেকটাই গোপন রেখেছে দলটি। তবে স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মুজাহিদদের উক্ত ২৪টি অভিযানের ৫টিতে ৪ ওয়াগনার ভাড়াটে সহ মালির জান্তা বাহিনীর ৩৭ এরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে।
এদিকে আয-যাল্লাকা থেকে জানা যায়, মুজাহিদগণ এসকল অভিযান শেষে শত্রু বাহিনী থেকে বিপুল সংখ্যক সামরিক যান ও অস্ত্র গনিমত পেয়েছেন, এসবের মধ্যে রয়েছে ১৮টি সামরিক যান ও যানবাহন, ৫টি দুশকা, ৫৮টি ক্লাশিনকোভ, ১০টি বিকা, ৩টি ভারী সাঁজোয়া মেশিনগান, ১৬টি আরপিজি, ৮টি পিস্তল, বিভিন্ন অস্ত্রের ১৫৯টি বুলেট বাক্স, ৩০টি গোলাবারুদ বাক্স এবং বেশ কিছু মোটরসাইকেল।
বিপরীতে মুজাহিদদের বোমা বিস্ফোরণ ও তীব্র আক্রমণের সময় শত্রু বাহিনীর ১২টি যান, ১টি ট্যাংক এবং ১০টি মোটরসাইকেল সহ অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে।
মালিতে শত্রু ঘাঁটি থেকে মুজাহিদদের অর্জিত গনিমতের কিছু দৃশ্য