২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে হিজাব নিষিদ্ধকারী শিক্ষককে ‘শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ’ সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। আলোচিত রামকৃষ্ণ নামক ওই শিক্ষক মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরিধান করার কারণে কলেজের গেইট বন্ধ করে দিয়েছিল।
২০২২ সালে কর্ণাটকে হিজাব ইস্যুতে, কর্ণাটকের উদুপি জেলার সরকারী একটি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল রামকৃষ্ণ। হিজাব পরিহিতা কিছু নারী শিক্ষার্থী কলেজে প্রবেশ করতে চাইলে কলেজের গেইট বন্ধ করে দেয় উগ্রবাদী এই শিক্ষক। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদেরকে কলেজের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি সে।
তৎকালীন বিজেপি শাসিত কর্ণাটক রাজ্যের এই ঘটনাটি সেই সময় মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। তার ওই হীন কর্মকান্ড আন্তর্জতিক পরিমন্ডলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
সম্প্রতি নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকার রামকৃষ্ণকে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই এওয়ার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তে জনমনে হিজাব এবং সংখ্যালঘু অধিকার ইস্যুতে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে কর্ণাটকের ছয়টি প্রি ইউনিভার্সিটি কলেজ সর্বপ্রথম হিজাব পরে মেয়েদের ক্লাসে প্রবেশকে নিষিদ্ধ করে। এরপরই ঘটনাটি দাবানলের মতো পুরো রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিজাব পরিহিতা ছাত্রীদের ক্লাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
উগ্রবাদী হিন্দু ছাত্ররা হিজাব পরিহিতা মুসলিম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও হেনস্তা করলে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দোহাই দিয়ে সকল স্কুল ও প্রি ইউনিভার্সিটি বন্ধ করে দেয়।
১৫ মার্চ ২০২২ কর্ণাটক হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখে। হিজাবকে অপ্রয়োজনীয় আখ্যা দেয় এবং শিক্ষার্থীদের নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে চলতে হবে মর্মে রায় দেয়।
তথ্যসূত্র:
Karnataka: Principal who shut gates on hijab-clad students gets state award
-https://tinyurl.com/272mf6w5