ভারতের আসামের বারপেটা জেলায় ২৮ জন ভারতীয় মুসলিমকে বহিরাগত হিসেবে ঘোষণা করে ডিটেনশন ক্যাম্প বা বন্দী শিবিরে প্রেরণ করেছে আসাম পুলিশ। গত ২ সেপ্টেম্বর আসামের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল (FT) কর্তৃক এই রায় ঘোষণার করে। পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ তাদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে যায়। এই ২৮ জনের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ এবং ৯ জন মহিলা রয়েছেন। তারা বাঙালি মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য, যারা বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায় থানার বাইরে পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন এবং আত্মীয় পরিজনদের কেউ কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েও কান্নাকাটি করছেন। ভিডিওতে দেখা যায় যে, এক পরিবারের কিছু সদস্যকে বহিরাগত ঘোষণা করা হলেও অন্যদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, আগস্টের ৮, ৯ তারিখে ২২ জনকে আর ২ সেপ্টেম্বর আরও ২৮ জনকে থানায় ডেকে নিয়ে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল তাদেরকে বিদেশি ঘোষণা দিয়ে বন্দী শিবিরে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়।
সম্প্রতি আসাম সরকার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ যেন ২০১৪ সালের আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি, জৈন এবং খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে মামলা ফরেনার্স’ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ না করে শুধুমাত্র মুসলিমদের মামলাগুলোই যেন প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য যে, আসামে সিএএ ও এনআরসি প্রক্রিয়ার কারণে বহু পরিবার বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বহিরাগত বা বিদেশি ঘোষণা পাওয়ার পর বহু পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Declared ‘foreigners’, 28 Muslims in Assam sent to detention centre
– https://tinyurl.com/38s82ykd