সেপ্টেম্বরের প্রথম দশকে সাহেল অঞ্চলে মুজাহিদদের ৯ অভিযান

0
215

আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম), দলটির মুজাহিদগণ সাহেল অঞ্চল জুড়ে ইসলাম বিরোধী জান্তা বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক অপারেশন অব্যাহত রেখেছেন।

সূত্রমতে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে গত ১০ তারিখের মধ্যে অঞ্চলটিতে এক ডজনেরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছেন দলটির মুজাহিদগণ। প্রতিরোধ বাহিনীর অফিসিয়াল মিডিয়া শাখা আয-যাল্লাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৯টি অপারেশনের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, জেএনআইএম-এর এই অভিযানগুলোর ৫টি চালানো হয়েছে মালিতে। আর বাকি ৪টি অভিযান চালানো হয়েছে প্রতিবেশি বুরকিনা ফাসোতে।

এরমধ্যে মুজাহিদগণ প্রথম অভিযানটি চালান গত ১লা সেপ্টেম্বর বুরকিনা ফাসোর কুনগোসী শহরে। অভিযানটি একটি শত্রু সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হলে অনেক সৈন্য হতাহত হয় এবং অন্যরা ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে মুজাহিদগণ সংক্ষিপ্ত লড়াই শেষে ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন এবং ঘটনাস্থল থেকে অনেক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।

এমনিভাবে গত ৭ সেপ্টেম্বর মালির সেঁকো রাজ্যেও শত্রু বাহিনীর একটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদগণ। জানা যায় যে, মুজাহিদদের আগমনের সংবাদ পেয়েই রাজ্যটির গারা এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জান্তা সদস্যরা তাদের ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়, ফলে মুজাহিদগণ কোনো রক্তপাত ছাড়াই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন। এখান থেকেও মুজাহিদগণ প্রচুর সংখ্যক গনিমত লাভ করেন।

এছাড়া মুজাহিদদের বাকি ৭টি অভিযানের ২টিতে অন্তত ৩ শত্রু সৈন্য নিহত হয়। মুজাহিদদের অন্য অভিযানগুলোতেও অনেক সংখ্যক শত্রু সৈন্য হতাহত হয়, তবে তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায় নি।

আয-যাল্লাকার তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদগণ অন্য অভিযানগুলো শেষে শত্রু বাহিনী থেকে ২টি পিকা, ৪টি ক্লাশিনকোভ, ৫টি মোটরসাইকেল, ৫টি মোবাইল সহ অসংখ্য বুলেট ও পিকা চেইন গনিমত হিসাবে পেয়েছেন। বিপরীতে শত্রু কনভয়ে মুজাহিদদের অতর্কিত আক্রমণে ধ্বংস হয়েছে শত্রু বাহিনীর ৩টি সাঁজোয়া যান ও প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক সামরিক ঘাঁটি।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যবসায়ীদের হাতে রাখতে ৩৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী সরকার
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় এখন ইসরায়েলের চাপানো ক্ষুধার যন্ত্রণায় মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ