কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতের অধিকাংশ পণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। বিগত ৩বছরে এই খাতসমূহে অসংখ্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এই সরকার। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক সাংবাদিক সাক্ষাতকারে এই কথাগুলো বলেন ইমারতে ইসলামিয়ার কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী মৌলভী সদর আজম উসমানি হাফিযাহুল্লাহ। তিনি জানান, এগ্রো ফার্ম প্রতিষ্ঠা করতে কৃষক ও খামারিদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে তার মন্ত্রণালয়। এই সকল সেবার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের মাঝে আফিমের বিকল্প ফসল ও উন্নত মানের বীজ সরবরাহ, নগদ অর্থ প্রদান, খরা মোকাবেলা ও কৃষিজ পণ্যের বিপণনে সহায়তা প্রদান ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, মুরগি ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে আফগানিস্তান। বর্তমানে দেশটিতে ১৫ হাজার মুরগির খামার রয়েছে, এতে কাজ করছেন দেশের ১৫ হাজার নাগরিক। এছাড়া বিগত বছর কৃষকদের মধ্যে ৩৩ হাজার মেট্টিক টন উন্নত মানের বীজ বিতরণ করেছিল কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কিন্তু এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩হাজার মেট্টিক টন। এছাড়া বিগত বছর গমের ফলন ৫০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে এর পূর্বের বছর এই পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ টন।
কৃষকদের সমস্যা সমাধান করতে মুরাবাহা তহবিল গঠন করেছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এই তহবিল থেকে তাদের মাঝে ৩বিলিয়ন আফগানি বিতরণ করা হয়েছে। খরা রোধ ও সেচের পানির মজুদ বৃদ্ধি করতে দেশব্যাপী চেক ড্যাম নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।
দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে পশু চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করেছে উক্ত মন্ত্রণালয়। এছাড়া ফসল ও গৃহপালিত পশুপাখির রোগবালাই মোকাবেলা করতে একাধিক টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
কৃষি পণ্যের সংরক্ষণ ও বিপণনে এই সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে, হিমাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া আফিম চাষের বিকল্প ফসল চাষ সম্প্রসারিত করতে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে তালেবান সরকার।
বেসরকারি সংস্থার সাথে চুক্তির মাধ্যমে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে ১৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে এই মন্ত্রণালয়ের। এছাড়া কৃষি বিষয়ক যে কোন সমস্যায় বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উপমন্ত্রী সদর আজম হাফিযাহুল্লাহ।
তথ্যসূত্র:
1. Afghanistan self-sufficient in most agri, livestock sectors
– https://tinyurl.com/ymv3s4e8