পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় শত্রু বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিগুলিকে সফল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছেন প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বীর মুজাহিদিনরা। জানা যায়, মুজাহিদগণ গত বুধবার কেনিয়ার মান্দেরা, লাফেই, ধামাস এবং ফিনো এলাকায় অবস্থিত ক্রুসেডার বাহিনীর বিভিন্ন সামরিক কনভয় ও ক্যাম্পগুলি লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ চালায়িছেন।
শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ গত ১৬ অক্টোবর বুধবার, কেনিয়ার ফিনো এলাকার উপকণ্ঠে দেশটির কুফফার সৈন্যদের একটি কনভয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন।
মুজাহিদদের অতর্কিত এই আক্রমণে অনেক ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়েছে। হামলা থেকে জানে বেঁচে যাওয়া সৈন্যরা ঘটনাস্থলে ৩ ক্রুসেডার সেনা এবং এক সামরিক ডাক্তারের লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক, একটি পিস্তল এবং অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেছেন।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা কেনিয়ার লাফেই জেলার আওতাধীন ধামাস এলাকায় কেনিয়ান ক্রুসেডার বাহিনীর ঘাঁটিতেও আক্রমণ চালান। এতে ঘটনাস্থলেই ২ ক্রুসেডার সৈন্য নিহত হয়। একইসাথে ক্রুসেডার সেনাদের জন্য নির্মিত তাঁবুগুলো পুড়ে যায়।
এমনিভাবে মুজাহিদিনরা কেনিয়ার মান্দেরা রাজ্যের “৫০” নামক এলাকায়ও কেনিয়ান সেনাদের ক্যাম্পে একটি ভারী আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এতে বহু সংখ্যক শত্রু সৈন্য হতাহত এবং তাদের প্রচুর পরিমানে সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে।
উপরোক্ত অভিযানগুলো ছাড়াও হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা গতকাল কেনিয়ার মান্দেরা লাফেই জেলায় কেনিয়ান ক্রুসেডার সেনাদের একাধিক ক্যাম্প আক্রমণ চালিয়েছেন। এর মধ্যে লাফেই জেলার অন্তর্গত শেখ বারো এলাকায় কেনিয়ান সেনাদের ঘাঁটিতে সবচাইতে বড় আক্রমণটি চালানো হয়েছে। মুজাহিদগণ এই যুদ্ধে হালকা ও মাঝারি অস্ত্রের পাশাপাশি ভারী অস্ত্রেরও ব্যবহার করেছেন। ফলশ্রুতিতে জেলার আশপাশের এলাকাগুলোতেও এই যুদ্ধের ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।
উল্লেখ্য যে, এদিন হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধারা উপসাগরীয় অঞ্চলের বায়ধাবা বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একাধিক আর্টিলারি হামলা চালিয়েছেন। এতে অনেক শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে, যাদের মধ্যে জাতিসংঘের এক কর্মীও আহত হয়েছে।