জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

0
82

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গণহত্যায় উস্কানি-দাতা হিসেবে জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান কৌঁসুলি। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। জাফর ইকবালসহ আরও ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এর আগে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করায় শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা তাকে ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।

প্রসঙ্গত, স্বৈরাচার হাসিনার ‘রাজাকার’ উক্তির প্রতিবাদে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এক বিক্ষোভ মিছিল করে। ১৪ জুলাই রাতের ওই মিছিলে তারা স্লোগান দেন, ‘তুমি কে আমি কে – রাজাকার, রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে – স্বৈরাচার, স্বৈরাচার।’ এই স্লোগান ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী সরকারের ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত শিক্ষক ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর। আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে পোস্ট দেয় ফেসবুকে।

১৬ জুলাই ‘সাদাসিধে কথা’ নামে নিজের একটি ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিয়ে দুই প্যারায় ছোট্ট মতামত লেখে সে। তার নিজ হাতে লেখা চিরকুটও সেখানে আপলোড করা হয়। হাতে লেখা চিরকুটের অংশটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

সেই চিরকুটে সে লেখে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয়, আর কোনো দিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়ত সেই ‘রাজাকার’। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনও রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন, সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?’


তথ্যসূত্রঃ

১.মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-https://tinyurl.com/4ewsyn2m

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেরপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার হেক্টর ধানক্ষেত; বিধ্বস্ত ৫,০০০ ঘর-বাড়ী
পরবর্তী নিবন্ধত্রিপুরায় পুলিশি হেফাজতে অতিরিক্ত নির্যাতনের ফলে যুবকের মৃত্যু