সোমালিয়ার জালাজদুদ রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে সম্প্রতি আশ-শাবাব ও মোগাদিশু বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। ফলে অঞ্চলটিতে শাবাবের তীব্র আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকারও হয়েছে মোগাদিশু বাহিনী।
শাহাদাহ এজেন্সির তথ্যমতে, অঞ্চলটিতে মুজাহিদদের দু’দিনের প্রতিরোধ যুদ্ধেই অন্তত ৫৩ সেনা নিহত এবং ২৪ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে, বন্দী হয়েছে আরও ৫ এরও অধিক সৈন্য।
সূত্রমতে, এই অঞ্চলে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গত ১৬ অক্টোবর বুধবার, যা ইলদির জেলার উপকন্ঠে জিরিলি শহরে মিলিশিয়া বাহিনী কর্তৃক শুরু করা হয়েছিল। পরে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বীর মুজাহিদিনরা পাল্টা আক্রমণ চালান। এতে ১৭ মিলিশিয়া সদস্য নিহত এবং ২৪ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে, এসময় মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়েছে অন্তত ৫ মিলিশিয়া সদস্য। বাকি সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়।
তবে পালানোর সময় তারা ঘটনাস্থলে ১২ মিলিশিয়া সদস্যের মৃতদেহ রেখেই পালিয়ে যায়। মিলিশিয়াদের এই পলায়নের পর মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম ছাড়াও কয়েক ডজন মেশিনগান এবং ১২টি ক্লাশিনকোভ গনিমত হিসাবে পেয়েছেন।
শহরটিতে মোগাদিশু সরকার সমর্থিত মিলিশিয়াদের পরাজয়ের পর, ১৭ অক্টোবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত একটি সামরিক বাহিনীকে ইলদির জেলা অভিমুখে আগ্রাসনের জন্য পাঠানো হয়। মুজাহিদগণ প্রথমে কোনো প্রতিরোধ না করে মোগাদিশু বাহিনীকে সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত শহরের ভিতরে ঢুকার সুযোগ করে দেন। আর মোগাদিশু বাহিনী যখন মুজাহিদদের নির্ধারিত যুদ্ধের ময়দানে এসে পৌঁছায়, তখনই মুজাহিদিনরা এই বাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালানো শুরু করেন।
এদিন সন্ধ্যায় মুজাহিদিনরা মোগাদিশু বাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ শুরু করলে এর সৈন্যরা দিকভ্রান্ত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। এসময় যেসব সৈন্যরা হামলা চালানোর চেষ্টা করছে, মুজাহিদগণ তাদের সবাইকে নির্মূল করেছেন। যাদের প্রাথমিক সংখ্যা ৩৬ বলে উল্লেখ করেছে আশ-শাবাবের সামরিক নেতৃত্ব।
আশ-শাবাব নিশ্চিত করেছে যে, এই ৩৬ জন ঐসমস্ত সৈন্য যাদের মৃতদেহ যুদ্ধের পরে-ও ময়দানে পড়েছিল। ময়দানে পড়ে থাকা সৈন্যরা ছাড়াও এই যুদ্ধে কত সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায় নি। আশ-শাবাব আরও যোগ করেছে যে, এই অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ৩১ মেশিনগান, প্রচুর পরিমাণ গোলাবারুদ এবং অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে পেয়েছেন।
