রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের পশুরাম থানা সভাপতি হারাধন রায় ও তার সহযোগী সবুজ নিহতের ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হারাধন রায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টানা তিনবারের কাউন্সিলর।
নিহত হারাধন রায়ের স্ত্রী কনিকা রানী বাদি হয়ে মামলাটি করে। মামলার এজাহারে আন্দোলনে অংশ নেওয়া অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত ২ অক্টোবর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা হলেও বিষয়টি শনিবার জানাজানি হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রংপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মামলার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে কোতয়ালী থানার সামনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ আখতার। এসময় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ৪ আগস্ট নগরীর সিটি বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র আর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়, গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মহানগর আওয়ামী লীগের পশুরাম থানার সভাপতি হারাধন রায় ও তার সঙ্গী সবুজ নিহত হয়।
তারা আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দিয়েছে যে ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত কোনো ঘটনায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না। এমন নির্দেশনার পরও মামলা নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন তারা।
তথ্যসূত্র:
১. রংপুরে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম
– https://tinyurl.com/n9xvs7bs