নিম্নমানের বই ছাপিয়ে ১২ বছরে লোপাট ৩ হাজার কোটি টাকা

0
66

নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপিয়ে গত এক যুগে লুটপাট করা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা! এর মধ্যে শুধু ২০২৩ সালেই ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৯ টাকার অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। বইয়ের মান ও আকার কমিয়ে এবং নিউজপ্রিন্টে ছাপিয়ে লোপাট করা হয় ২৪৫ কোটি টাকা, আর অযাচিত বিল, অতিরিক্ত সম্মানী, আয়কর কর্তন না করা, অগ্রিম সমন্বয় না করাসহ নানা কারণ দেখিয়ে আরও প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। এতে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোয় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বছরও বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর তদবির, সক্রিয় প্রেস মালিকদের সিন্ডিকেট, মানহীন ২০ হাজার পাঠ্যবই বাতিল, এক ছাপাখানাকে সতর্ক করে দরপত্রের শর্ত পূরণের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১০ সাল থেকে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করছে সরকার। মূলত তখন থেকে নিউজপ্রিন্টে নিম্নমানের বই ছাপা শুরু হয়। তবে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বই ছাপায় বড় অনিয়ম করা হয়। টেন্ডারের সব শর্ত মেনে পাঠ্যবই ছাপার ঠিকাদারি নিলেও কাগজের পুরুত্ব, উজ্জ্বলতা ও টেকসই ক্ষমতা (বার্স্টিং ফ্যাক্টর) কিছুই মানা হয়নি। তার পরও ছাপাখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন কর্তৃপক্ষ।

২০২৩ সালের মতো গত ১১ বছরও গড়ে ২৫০ কোটি টাকার মতো লুটপাট করা হয়েছে। সেই হিসাবে গত এক যুগে বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি লোপাট হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।


তথ্যসূত্র:
১. ১২ বছর নিম্নমানের বই ছেপে ৩ হাজার কোটি টাকা
– https://tinyurl.com/bd4wcwzu

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের প্রস্তাব রিজভীর
পরবর্তী নিবন্ধবুরকিনা ফাসোতে মুজাহিদদের পৃথক অপারেশনে অন্তত ১৪ শত্রু সেনা হতাহত