ভিডিও || দেশে দেশে জোরালো হচ্ছে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

0
166

দেশে দেশে জোরালো হচ্ছে
‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

রাম্বল থেকে ভিডিও দেখুন:

বিটকিউট থেকে ভিডিও দেখুন:

রাম্বল লিংক: https://rumble.com/v63mssy–al-firdaws.html?e9s=src_v1_ucp

বিটকিউট লিংক: https://www.bitchute.com/video/FeZsBNxM7U4S

আর্কাইভ লিংক: https://archive.org/details/the-india-out-campaign-is-gaining-momentum-across-the-country.

 

দেশে দেশে জোরালো হচ্ছে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

সম্প্রতি নতুন মোড় নিয়েছে বিশ্ব রাজনীতি। ক্ষমতার পালাবদলে পরিবর্তন এসেছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, পরিবর্তিত হচ্ছে কূটনৈতিক সম্পর্কও। আর এসবের বেড়াজালে পড়ে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। একদিকে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের ক্ষমতা বদল, অন্যদিকে কোনো প্রতিবেশীর সঙ্গেই নেই তেমন সুসম্পর্ক। প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে পুরনো সেই বৈরিতা তো আছেই।

এদিকে ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে মার্কিনীরা। একইসঙ্গে ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি; মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় ভারতের উদ্বেগ বেড়েছে। আর এর মধ্যে ভারতের ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ’ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে সুইজারল্যান্ড। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতায় অনেকটা বিপাকে পড়েছে ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান। এতেও উদ্বেগে ভারতীয় কূটনীতিকরা। সব মিলিয়েই বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান এখন টালমাটাল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

‘অসহযোগী’ দেশের তালিকায় ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)।
সংস্থাটির তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার অভিবাসীই ভারতীয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী এক মাসের মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি কঠোর করার অঙ্গীকার করেছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে। ফলে চূড়ান্ত আদেশপ্রাপ্ত হাজার হাজার ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কেও চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতকে দেওয়া মর্যাদা প্রত্যাহার করল সুইজারল্যান্ড

দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির (ডিটিএএ) আওতায় ভারতের ‘সবচেয়ে অনুকূল’ বা ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের’ (এমএফএন) মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে সুইজারল্যান্ড। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নেসলে মামলার রায়ের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের মতে, এই রায় তাদের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে গেছে এবং এতে নেসলেসহ অন্যান্য কর সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের অবস্থান দুর্বল হয়েছে।

গত ১১ ডিসেম্বর সুইস অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ভারতীয় করদাতাদের জন্য সুইজারল্যান্ডে ডিভিডেন্ডের ওপর করহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ ভারতীয় কোম্পানি এবং সুইস বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এটি বিশেষত সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সাবসিডিয়ারির জন্য করের বোঝা বাড়াবে।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতায় ভারতের উদ্বেগ বাড়ছে!

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন ইরানের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাশার আল-আসাদের পরিবার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানের প্রধান আঞ্চলিক মিত্র। শুধু তাই নয়, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরান এবং ইরাকের মধ্যে যুদ্ধে সিরিয়াই একমাত্র আরব দেশ ছিল যারা ইরানকে সমর্থন করেছিল। বাকি আরব দেশগুলো কিন্তু ইরাকের সঙ্গে ছিল।

সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তালমিজ আহমেদ সম্প্রতি করণ থাপারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ইসরায়েল এখন পুরো অঞ্চলকে দীর্ঘ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এমনটা যদি হয়, তাহলে সেটা কোনওভাবেই ভারতের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।”

কেন এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে তাও ব্যাখ্যা করেছেন তালমিজ আহমেদ।

তার কথায়, “ভারতের উচিৎ ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করে সেটা বন্ধ করা। যদি এই অঞ্চলে সংঘাত বাড়তে থাকে, তাহলে উপসাগরীয় দেশগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ৮৫ লক্ষ ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরে আসতে হবে।”

“ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ওই অঞ্চলে ইরান দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে ভারতের স্বার্থও দুর্বল হয়ে পড়বে।”

বাংলাদেশে ক্ষমতা বদলে এশিয়ায় খর্ব হয়েছে ভারতের আধিপত্য!

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। আর এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। এটি ভারতের জন্য এক বড় ধরনের ধাক্কা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ওপর দীর্ঘকাল ধরে যে রাজনৈতিক প্রভাব এবং আধিপত্য ভারত গড়ে তুলেছিল, তা বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ভেঙে পড়েছে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে ভারত সরকারের মধ্যে এক ধরনের হতাশা দেখা যাচ্ছে। তাই গত ৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক মিথ্যাচার করে যাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। একইসঙ্গে দেশটির রাজনীতিবিদরাও বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে বিষেদগার করছে। সেখানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের ওপর হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো যেমন— শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মালদ্বীপেও ভারতের প্রভাব কমে আসছে।

এদিকে, শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় দুই দেশের সম্পর্কেও প্রভাব পড়েছে। ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আর এ নিয়ে প্রায়ই কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বৈশ্বিক রাজনীতি এবং কূটনীতিতে ভারত এখন অনেকটাই বিপর্যস্ত। ক্ষমতার পরিবর্তনের ফলে ভারতের এখন নিজেদের স্বার্থ রক্ষা অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ভবিষ্যতে এই চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


তথ্যসূত্র:
1. 18000 Indians Face Deportation Risk As Trump Vows Immigration Crackdown
– https://tinyurl.com/39ft6zsb
2.Why has Switzerland suspended ‘Most-Favoured Nation’ status to India?
– https://tinyurl.com/37jcbndd
3. Bangladesh’s Power Shift Strains Ties with India
– https://tinyurl.com/yrcjp8n8

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালির রাজধানীর পশ্চিমে সেনা কনভয়ে মুজাহিদদের অ্যাম্বুশ: নিহত ১০ শত্রু সেনা
পরবর্তী নিবন্ধভিডিও || ডয়চে ভেলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলপন্থী পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিজ কর্মীদের