উত্তর গাজার বেইত আল-হানুন: জায়োনিস্টদের কবরস্থান

0
28

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা ছিলো উত্তর গাজার বেইত আল-হানুন ফ্রন্টলাইন। যুদ্ধবিরতির আগের শেষ দিনগুলোতে যুদ্ধের তীব্রতার কারণে এলাকাটির কয়েকটি মুজাহিদ ইউনিট কেন্দ্রের সাথে তাদের যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন।

কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া স্বত্বেও এই মুজাহিদিনরা বীরত্ব ও সাহসিকতার সাথে জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন। বলা হয়ে থাকে, মুজাহিদদের এই ধরণের বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী অভিযানগুলোই জায়োনিস্ট বাহিনীকে নতজানু হয়ে মুজাহিদদের দেওয়া শর্ত মেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিল।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গাজার উত্তরের বেইত আল-হানুন ফ্রন্টলাইনের কয়েকটি মুজাহিদ ইউনিট সেন্ট্রাল কমান্ডের সাথে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে সক্ষম হন। তাঁরা এই সময়টাতে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু বীরত্বপূর্ণ অপারেশনের কথাও নিশ্চিত করেন। মুজাহিদদের এই অপারেশনগুলো বেইত আল-হানুন ফ্রন্টলাইনকে জায়োনিস্ট বাহিনীর জন্য কবরস্থানে পরিণত করেছিল, যেখানে ৫ জন মুজাহিদও শাহাদাত বরণ করেছিলেন।

কেন্দ্র থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই ইউনিটগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের সাথে থাকা মুজাহিদিনরা গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত,
বেইত আল-হানুন ফ্রন্টলাইনে জায়োনিস্ট বাহিনীকে টার্গেট করে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করছেন।

মুজাহিদিনরা এই সময়টাতে ২টি সম্মুখ যুদ্ধ, ৪টি অ্যাম্বুশ ও ২টি স্নাইপার হামলা সহ জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অন্তত ১৮টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন। এসকল অপারেশনে মুজাহিদিনরা জায়োনিস্ট বাহিনীকে লক্ষ্য করে ২টি “M74” রকেট, ৮টি “রুজুম” রকেট এবং এক ডজনেরও বেশি মর্টার শেল নিক্ষেপ করেন। সেই সাথে জায়োনিস্ট বাহিনীর বিভিন্ন অবস্থান ও সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে মুজাহিদিনরা ৬টি TBG অ্যান্টি-পারসনেল শেল, ৩টি অ্যান্টি-পারসনেল বিস্ফোরক ডিভাইস, ৩টি আল-ইয়াসিন-১০৫ রকেট, ৫টি আইইডি বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যাবহার করেন।

মুজাহিদদের এসকল বীরত্বপূর্ণ অভিযানে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৪টি সামরিক যান, ২টি মারকাভা ট্যাংক এবং ১টি “D9” সামরিক বুলডোজার ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সাথে কয়েকটি আবাসিক বাড়ি ও সামরিক অবস্থান জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর ধ্বসিয়ে দেন মুজাহিদিনরা।

জায়োনিস্ট বাহিনীর ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এসকল অভিযানের ৮টিতেই জায়োনিস্ট বাহিনীর ৩ উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার সহ অন্তত ২১ সৈন্য নিহত এবং আরও ৩০ সৈন্য আহত হয়েছে। যদিও হতাহতের বাস্তবিক এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।


তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/mr346x45

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে ৫৫০ জন পুলিশ সদস্যের পেশাগত ও শরীয়াহ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তি পেয়েছেন মার্কিন কারাগারে বন্দী থাকা আফগান মুজাহিদ খান মুহাম্মদ হাফিযাহুল্লাহ