ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে কমলা উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য

0
108

সম্প্রতি আফগানিস্তানে কমলা উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

কমলা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল হল আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশ। নানগারহার খাল সংলগ্ন ২০ হাজার জেরিব (৯৮৮৪.২ একর) জমি কমলা বাগানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, এর মধ্যে বর্তমানে ২ হাজার ৬০০ জেরিব (প্রায় ১২৮৫ একর) জমি কমলা সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া উক্ত অঞ্চলের মোট ১০ হাজার ৫০০ (৫১৮৯.২ একর) জেরিব জমি এখন কমলা সংগ্রহের জন্য উপযুক্ত।

যুদ্ধাবস্থা ও পূর্ববর্তী পুতুল প্রশাসনের অবহেলার দরুন আফগানিস্তানে কমলা উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এই খাতকে সমৃদ্ধ করাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তালিবান সরকার। কমলা ফলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ব্যাপারে কৃষকগণ বর্তমানে অত্যন্ত আশাবাদী।

উৎপাদিত কমলার কিছু কিছু বিদেশে রপ্তানি হতে শুরু করেছে। তবে কমলা ফলের বিপণন ও রপ্তানির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাগান পরিচালকগণ। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ কমলার সমারোহে জমজমাট হয়ে উঠেছে কাবুলের ফল বাজার। তাই ফলন বৃদ্ধি নিয়ে ফল বিক্রেতাগণও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

আফগান কৃষি খাতকে সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। কমলা উৎপাদনের এই সাফল্য সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রতিফলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই সাফল্য ভবিষ্যতে উক্ত খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের আশা জাগিয়ে তুলছে।


তথ্যসূত্র:
1. Country’s Orange Production Witnesses Remarkable Growth
– https://tinyurl.com/4dyy475e

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রীর নামে ১২টি ব্যাংক একাউন্টে ৩৪২ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধস্কুলের ইট চুরির সময় ধরা খেল আওয়ামী লীগ নেতা