সোমালিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাসাগাওয়ে শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন

0
137

হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সোমালিয়ায় কেন্দ্রীয় অঞ্চলের মাসাগাওয়ে শহর ও এখানকার সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শাহাদাহ এজেন্সির তথ্যমতে, গতি ২৫ জানুয়ারি শনিবার ভোরে, সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় জালাজদুদ রাজ্যের মাসাগাওয়ে শহরে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শহরটিতে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে স্থবির সামরিক অভিযানের পর নতুন করে তীব্র আক্রমণ চালাতে শুরু করেছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন।

সূত্রমতে, মাসাগাওয়ে শহরে মুজাহিদিনরা প্রথমে মোগাদিশু কেন্দ্রীক সোমালি সেনাবাহিনী (এসএনএ) এবং এর মিত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীর অবস্থান লক্ষ্য করে শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটান। এতে মোগাদিশু বাহিনী দিকভ্রান্ত হয়ে গেলে সামরিক অবস্থানে ঢুকে পড়েন মুজাহিদিনরা। এরপর সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি পুরো এলাকায় মোগাদিশু বাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়।

মোগাদিশু সরকার শহরে আটকা পড়া সেনাদের সহায়তায় দ্রুত সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং নতুন সেনা ইউনিট প্রেরণ করে। কিন্তু শহরে ঢুকার আগেই এই দলগুলোকে মুজাহিদদের অন্য দলগুলো সফলভাবে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন। ফলে সাহায্য করতে আসা মোগাদিশু বাহিনীর এই দলটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। এতে ব্যর্থ হয় মোগাদিশু বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি প্রচেষ্টা।

অপরদিকে মুজাহিদদের মূল দলটি শহর ও সামরিক ঘাঁটির ভিতর মোগাদিশু বাহিনী ও একে সমর্থনকারী মিলিশিয়া দলগুলোর উপর ভারী আঘাত হানতে থাকেন। এতে বহু সংখ্যক শত্রু সৈন্য নিহত ও আহত হয়, অন্য সৈন্যরা তাদের ৯ সেনার মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া এই দলটির মধ্যে এক ডজনেরও (১২) বেশি সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মোগাদিশু বাহিনী ও তাদের সমর্থনকারী মিলিশিয়ারা পালিয়ে যাওয়ার পর মাসাগাওয়া শহর এবং এখানকার শত্রু ঘাঁটির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা। এসময় মুজাহিদিনরা অনেক সামরিক যানবাহন, অস্ত্র ও প্রচুর সামরিক সরঞ্জামের পাশাপাশি শহরের প্রধান অস্ত্রের গুদামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেনিনিজ সেনাবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আল-কায়েদা মুজাহিদিনদের হামলা: নিহত অন্তত ৪
পরবর্তী নিবন্ধভিডিও || ১৫ হাজারের বেশি স্কুলগামী ফিলিস্তিনি শিশু শহীদ-নিখোঁজ