আল-কায়েদা ইসলামিক মাগরিবের সামরিক শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। সম্প্রতি (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা বুরকিনা ফাসোর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে ৮টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলা জানা গেছে।
আয-যাল্লাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে, বুরকিনান জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে ৮টি সামরিক ব্যারাক ও ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
মুজাহিদিনরা প্রথম সামরিক ঘাঁটিটি বিজয় করেন গত ১৬ জানুয়ারি সকালে। এদিন দেশটির ওয়াহিগৌয়া রাজ্যের ইউবা এলাকায় একটি সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে মুজাহিদিনরা সামরিক ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নেন।
এমনিভাবে গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে, বুরকিনা ফাসোর ডোরী রাজ্যে একটি অ্যাম্বুশ করেন মুজাহিদিনরা। রাজ্যের সিবা এলাকায় বুরকিনান জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুজাহিদিনরা অভিযানটি পরিচালনা করেন। মুজাহিদদের তীব্র এই আক্রমণে জান্তা বাহিনীর ৩টি সামরিক যান ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সাথে অন্তত ২০ সৈন্য নিহত এবং আরও ২০ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়। বাকি সৈন্যরা পালিয়ে যায়, যাদের মধ্যে ১৮ সেনা নিখোঁজ হয়ে পড়ে। জান্তা সদস্যদের এই পলায়নের পর মুজাহিদিনরা সামরিক ব্যারাকের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন এসময় মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনী থেকে ২টি সামরিক যান, ৩টি মোটরসাইকেল, ৩টি ক্লাশিনকোভ, ১টি দোশকা, ১টি পিকা সহ অসংখ্য অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
এর একদিন পর, ফাদাঙ্গুরমা রাজ্যের বামা এলাকায় একটি বড় ধরনের সামরিক অপারেশন চালান মুজাহিদিনরা। প্রায় দেড় শতাধিক মুজাহিদ ভারী অস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান নিয়ে এই যুদ্ধে অংশ নেন। ফলে জান্তা বাহিনীতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির হয়। বাকি সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে গেলে মুজাহিদিনরা ব্যারাকের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন।
এদিকে গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায়, দেদুগু রাজ্যের কাওরা এলাকায় একটি অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদিনরা। আক্রমণটি বুরকিনান জান্তা দ্বারা সমর্থিত মিলিশিয়াদের একটি সদর দপ্তর লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে বহু সংখ্যক মিলিশিয়া সদস্য হতাহত হয়। সূচনীয় পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাকি মিলিশিয়া সদস্যরা পালিয়ে গেলে মুজাহিদিনরা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এর একদিন পর (২৮ জানুয়ারি), মুজাহিদিনরা দেদুগু রাজ্যের সান অঞ্চলে একটি বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাকে আক্রমণ চালান।সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীতে ব্যাপক হতাহত ও বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। এতে বাকি সৈন্যরা ব্যারাক ছেড়ে পালিয়ে যায়, তখন মুজাহিদিনরা ব্যারাকের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন।
সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি ভোরে, মুজাহিদিনরা সোম রাজ্যের জিবো শহরে একযোগে জান্তা বাহিনীর ৩টি সামরিক ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালান। এতে দিকভ্রান্ত জান্তা সদস্যরা জীবন বাঁচাতে এদিক সেদিক ছুটতে শুরু করে, এসময় মুজাহিদদের হামলায় বহু সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয় এবং অন্য সৈন্যরা পালিয়ে যায়। সেনাদের এই পলায়নের পর মুজাহিদিনরা সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন।