
দক্ষিণ লেবাননে ১৯ ফেব্রুয়ারি, বুধবার একটি গাড়িতে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকার বেশির ভাগ স্থান থেকে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার এক দিন পরই এই হামলা হয়েছে। লেবাননের সরকারি গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।
এই হামলায় একজন নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) বলেছে, ‘একটি শত্রু ড্রোন দক্ষিণ সীমান্তের কাছে আইতা আল-শাব শহরে একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে এনএনএ জানিয়েছিল, সীমান্তবর্তী ওয়াজ্জানি অঞ্চলে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে একজন আহত হয়েছেন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলো পরিদর্শন করছিলেন। পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী শেবা শহরের কাছে ঘরবাড়ির দিকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে বলেও জানায় তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর দখলদার ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে দুই মাসের যুদ্ধসহ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত ২৭ নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে স্থগিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।
কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা শেষের আগেই দখলদার ইসরায়েল ঘোষণা করে, তারা সীমান্তের কাছে ‘পাঁচটি কৌশলগত অবস্থানে’ সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে। লেবাননের নেতারা সন্ত্রাসী ইসরায়েলের এই অবস্থানকে ‘দখলদারি’ বলে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘ এই অসম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারকে নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রস্তাবের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, লেবাননের বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোর পুনর্গঠন ব্যয় ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে। ১ লাখের বেশি মানুষ এখনো অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রয়েছেন।
তথ্যসূত্র:
1. Israeli drone attack kills 1 in southern Lebanon despite ceasefire deal
– https://tinyurl.com/3z8xj9rz