আলেপের বিরুদ্ধে গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে আদালত

0
41

সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আলেপ উদ্দিন অসংখ্য গুম, খুন, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। এক আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার (আসামির) স্ত্রীকে রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করেছিল আলেপ উদ্দিন, এর তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, আলেপ উদ্দিন অনেক ব্যক্তিকে অপহরণ করে বছরের পর আটকে রেখেছিল। নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছিল। চোখ বেঁধে রেখে, ইলেকট্রিক শক দিয়ে এবং উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে অনেককে নির্যাতন করেছিল।

প্রসঙ্গত, আল-জাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজনের করা এক ফেসবুক পোষ্ট থেকে জানা যায়, আলেপ র‌্যাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। সে গুম হওয়া ব্যাক্তিদেরকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করতো।

মউদুদ সুজন লিখেন, গুম হওয়া এক স্বামী বলছেন- পবিত্র শবে কদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে, তখান আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এ আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল। এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়।


তথ্যসূত্র:
১.আলেপের বিরুদ্ধে বন্দি ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে
-https://tinyurl.com/4797f6ax

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌকাসহ ১৯ বাংলেদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
পরবর্তী নিবন্ধইমারতে ইসলামিয়ার সামরিক একাডেমী হতে ২৬৮ জন তরুণ অফিসারের ৪ বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন