
আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। সম্প্রতি দলটির অফিসিয়াল মিডিয়া শাখা আয-যাল্লাকা থেকে একটি ইনফোগ্রাফি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, এতে গত শাওয়াল মাসে (এপ্রিল) পশ্চিম আফ্রিকায় মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানের একটি সংক্ষিপ্ত ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জেএনআইএম মুজাহিদিনরা এপ্রিল মাসে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার ও বেনিনে ১টি ইস্তেশহাদী হামলা সহ অন্তত ৮৮টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৪২টি সম্মুখ যুদ্ধ, ৩৮টি আইইডি বিস্ফোরণ, ৫টি অ্যামবুশ, কয়েকটি ইনগিমাসী অভিযান ও বেশ কিছু মর্টার হামলা।
মুজাহিদদের এসকল দুর্দান্ত অভিযানের মধ্যে মাত্র ৩৪টি অভিযানেই এই অঞ্চলের জান্তা বাহিনীগুলোর অন্তত ৫৩০ সেনা নিহত এবং আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়েছে। এরমধ্যে শুধু বুরকিনা ফাসোতেই মুজাহিদের হামলায় ৩২০ জান্তা সৈন্য নিহত এবং ৩ এরও বেশি সৈন্য বন্দী হয়েছে। আর বেনিনে মুজাহিদদের ৩টি পৃথক অভিযানে নিহত হয়েছে আরও ৮৬ এরও বেশি শত্রু সৈন্য। এছাড়া মালি ও নাইজারে মুজাহিদদের হামলায় দেড়শোরও বেশি শত্রু সৈন্য নিহত হয়েছে। এই অঞ্চলে মুজাহিদদের বাকি ৫৪টি অভিযানেও আরও অসংখ্য শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে।
আয-যাল্লাকা কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক রিপোর্টগুলোর তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা বীরত্বপূর্ণ এসকল অভিযানের মাধ্যমে এই অঞ্চলের জান্তা বাহিনীগুলো থেকে ৫২টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এরমধ্যে বুরকিনা ফাসোর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে মুজাহিদিনরা ৩৭টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন, মালিতে জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে ১৩টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এমনিভাবে মুজাহিদিনরা বেনিনে শত্রু বাহিনী থেকে ২টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা এসকল অভিযানের সময় শত্রু বাহিনী থেকে ১৯টি সাঁজোয়া যান, ১৯৭টি মোটরসাইকেল, প্রায় ১০০০টি বিভিন্ন অস্ত্র এবং ৪৫টি আরপিজি সহ অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেছেন। এছাড়াও শত্রু বাহিনীর ১৩৪টি যানবাহন, অসংখ্য মোটরসাইকেল এবং বহু সামরিক সরঞ্জাম মুজাহিদিনরা ধ্বংস করেছেন।
মাশাআল্লাহ, আল আক্বসা পানে ঝড় তুলতে এই অস্ত্র সমূহ অনেক কাজে দিবে ইনশাআল্লাহ্। এক হাজার অস্ত্র দিয়ে নতুন এক হাজার মুজাহিদ প্রস্তুত করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ্