
গাজায় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের রক্ত ঝরানোর পর এবার সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালালো ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল। ৩ মে, শনিবার দামেস্কসহ সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালায়, যার মধ্যে রাজধানী দামেস্কে কমপক্ষে আটটি হামলা হয়। শনিবার রাতের হামলায় কমপক্ষে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।
দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের এই হামলাকে “সিরিয়ায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অভিযান” বলে দাবি করলেও, সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায় সরাসরি এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, “ইসরায়েল দ্রুজদের রক্ষা করতে আসেনি, বরং সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করতে ইসলামি বিশ্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।”
সিরিয়ার দ্রুজ নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছে, “আমরা নিজেরাই আমাদের সমস্যা সমাধান করতে পারি। ইসরায়েলের সাহায্য বা হস্তক্ষেপ আমরা চাই না।” তারা দখলদার ইসরায়েলের মুখোশ উন্মোচন করে বলেছে, “ইসরায়েল নিজেই দ্রুজদের উপর অত্যাচার চালায়, তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে তোলে।”
জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসন ইসরায়েলের হামলাকে “সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন” বলে নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু পাশ্চাত্য দেশগুলোর নীরবতা প্রমাণ করে, তারা ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এছাড়া ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ার গোলান হাইটস দখল করে রেখেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার আম্মার আল-হারিরি বলেছেন, “ইসরায়েলি হুমকি ও বিমান হামলা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।”
ইসরায়েলের এই হামলা শুধু সিরিয়ার বিরুদ্ধেই নয়, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। পাশ্চাত্য ও ইহুদিবাদী শক্তিগুলো মুসলিম দেশগুলোকে দুর্বল করতে চায়। কিন্তু সিরিয়ার জনগণ ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের ঐক্য প্রমাণ করে, ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির বিরুদ্ধে ইহুদিবাদীদের সকল চক্রান্ত ব্যর্থ হবে।
তথ্যসূত্র:
1. Dozens of Palestinians starved to death under Israel’s blockade of Gaza
– https://tinyurl.com/823amzzuut7
2. Israeli attacks kill two more as Syria government reaches deal with Druze
– https://tinyurl.com/n6z6hwkp