
প্রত্যাবর্তিত শরণার্থীদের সাধ্যানুযায়ী সব রকমের পরিষেবা প্রদান একটি দায়িত্বশীল সরকারের অগ্রাধিকারপূর্ণ কর্তব্যের আওতায় পড়ে। তাই নিষ্ঠার সাথে এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।
এই লক্ষ্যে ইমারতে ইসলামিয়ার প্রশাসনিক উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলভী আব্দুস সালাম হানাফি হাফিযাহুল্লাহ’র নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিশন ব্যাপক সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রথম থেকেই ভূমিকা পালন করে চলেছে।
তুরখামে অবস্থিত ওমারি ক্যাম্পে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে হাজার হাজার আফগান শরণার্থী ফিরে এসেছেন। তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তালিবান প্রশাসন। উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে একটি আধুনিক প্রশাসনিক কমপ্লেক্স নির্মাণ, ১ কোটি ১০ লাখ আফগানি ব্যয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সেবার জন্য গ্রিড প্রতিষ্ঠা। শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে উদ্যোগসমূহ ইমারতে ইসলামিয়ার দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রমাণ বহন করে।
এছাড়া শরণার্থীদের জন্য সুসজ্জিত চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে, বিশেষত একটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জরুরি বিভাগের পাশাপাশি অস্ত্রোপচার সুবিধা রাখা হয়েছে। একই সাথে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে শত শত শরণার্থী শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তুরখামের পাশাপাশি ফারিয়াব, জাওযান, সারেপুল, বালখ, তাখার ও কুন্দুজসহ একাধিক প্রদেশে শরণার্থীদের জন্য আবাসন স্থাপন করা হয়েছে। এই সকল অঞ্চলে শরণার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ ও স্বাবলম্বী জীবনযাপনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
শরণার্থীদের যাবতীয় নিবন্ধন, শিক্ষাগত তথ্য, সাধারণ ও পেশাগত দক্ষতা ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান, সরকারি সংস্থাতে নিয়োগ ইত্যাদির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, শরণার্থীদের কেবল স্বল্পমেয়াদী সেবা প্রদান করেই তালিবান প্রশাসন ক্ষ্যান্ত নয়, বরং তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
তথ্যসূত্র:
1. A Warm Welcome: Uninterrupted Services for Returning Refugees
– https://tinyurl.com/2baf7392