
তিস্তা নদীর পানি চব্বিশ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার কমলেও তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চলের মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে লালমনিরহাটের তিনটি উপজেলার অন্তত ২০ ইউনিয়নের কয়েক হাজার প্রান্তিক চাষি ও চরাঞ্চলের লোকজনের আমন ক্ষেত গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অনেক স্থানে বাড়িঘর রাস্তাঘাট হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে।
গত শনিবার বিকেল থেকে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নদী সংলগ্ন তিস্তাপাড়ের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
রোববার (০৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। চব্বিশ ঘণ্টায় সেই পানি প্রায় ২০ সেন্টিমিটার কমে আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তাপাড়ের হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তার চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ ডুবে গেছে। অনেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সেখানে একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম এখন নৌকা ও ভেলা। ঢলের পানিতে আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত এবং মাছের পুকুরও ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তথ্যসূত্র:
১. কমেছে তিস্তার পানি, ভোগান্তিতে নিম্নাঞ্চলবাসী
– https://tinyurl.com/4zyx4jpu


