
যুদ্ধ, অবরোধ ও ক্ষুধার ভেতরেও বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গাজার মানুষ। সেই লড়াইয়ে সহায়তা হিসেবে আকাশপথে পাঠানো খাবারও এখন হয়ে উঠেছে অনিরাপদ ও বিষাক্ত। সম্প্রতি গাজাবাসীরা প্যারাসুট দিয়ে ফেলা খাদ্য সহায়তার প্যাকেটে কালো মোল্ড এবং প্লাস্টিক বর্জ্য দেখতে পেয়েছেন, যা খাদ্যকে সম্পূর্ণ অখাদ্য করে তুলেছে।
ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ ইসরায়েলের অবরোধ ও যুদ্ধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পাঠানো খাদ্য সহায়তা গাজাবাসীর জন্য একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েলের পাঠানো খাদ্য সহায়তা গাজাবাসীর জন্য নতুন এক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্যারাসুট দিয়ে ফেলা কিছু খাদ্য প্যাকেটে কালো মোল্ডের আস্তরণ দেখা গেছে। এছাড়াও, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) এর কিছু সাইট থেকে সংগ্রহ করা আটার ব্যাগে প্লাস্টিক বর্জ্য ও অন্যান্য আবর্জনা মিশে থাকতে দেখা গেছে, যা খাদ্যকে সম্পূর্ণ অখাদ্য করে তুলেছে।
এই ঘটনায় গাজাবাসীর ক্ষোভ আরও বেড়েছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে এই ধরনের দূষিত খাদ্য সহায়তা পাঠানো হচ্ছে? এটি কি ইসরায়েলের পরিকল্পিত নিষ্ঠুরতা, নাকি অবহেলার ফল।
এদিকে, GHF সাইটগুলোতেও সহায়তা বিতরণের প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। এই সাইটগুলোতে সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই শতাধিক গাজাবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলি ও সহিংসতা এখানে নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন এই দূষিত খাদ্য সহায়তা গাজাবাসীর দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
চোখের সামনে এইসব দৃশ্য দেখে হতবাক স্থানীয়রা বলছেন, অনেক বস্তায় থাকা আটা জমে গেছে কিংবা ছত্রাকে ঢেকে গেছে। কেউ কেউ এমনকি বস্তা খুলে ভেতরে প্লাস্টিকের টুকরো ও ময়লা আবিষ্কার করেছেন, যেগুলো কোনোভাবেই খাবারের সঙ্গে থাকার কথা নয়।
খান ইউনিসের এক চিকিৎসক বলছেন “এটি কেবল ব্যর্থতা নয়, এটি বিপজ্জনক,”। তিনি সতর্ক করে বলেন, “ছত্রাকযুক্ত বা দূষিত খাবার ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”
তথ্যসূত্র:
1. Video: Food aid dropped into Gaza contaminated with mould
– https://tinyurl.com/2sf8x2tf


