
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি উপস্থিতি নেই, তারা আফগানিস্তান সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞানও রাখে না, তা সত্ত্বেও মানবাধিকার ইস্যুতে নিজেদের ইচ্ছে মতো মূল্যায়ন প্রকাশ করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এসব মন্তব্য করেন ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ।
উক্ত মানবাধিকার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তালিবান সরকারের অধীনে আফগানিস্তানে মানবাধিকার সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। নারী অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়েছে।
জবাবে মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ বলেন, আফগানিস্তানে কোনও মার্কিন দূতাবাস নেই। তাই তাদের পক্ষে আফগানিস্তানের বাস্তবতা, অগ্রগতি বা মানবাধিকারের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা চলে না। এই প্রতিবেদনগুলোর সাথে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জড়িত, অধিকাংশ প্রতিবেদন ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত মার্কিন দখলদারিত্বের সময়ের সাথে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি তুলনা করা, মানবাধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোন সময়কালটি অধিক উত্তম সেটা তারা অনুধাবন করুক।
তিনি আরও বলেন, আফগান ইস্যু নিয়ে আমেরিকার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়, কেননা নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে বর্তমান সরকার অবগত আছে। আফগানিস্তানের একটি একটি ধর্মীয় ও আইনি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এখানে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. US human rights report on Afghanistan has a ‘political tone’, says IEA spokesman
– https://tinyurl.com/3m7bzhc9


