গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দিয়েছে ভারত; বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি

0
43

ভারী বৃষ্টি এবং ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় আরো তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়।

এতে নিম্নাঞ্চলের ৩৫টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। পানি পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট সার্বক্ষণিক খুলে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবো সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আগামী দুই/তিনদিন এই অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে। এতে লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওযার আশঙ্কা রয়েছে।

তিস্তাপাড়ের গোবর্দ্ধন গ্রামের মোবারক হোসেন বলেন, দুইদিন ধরে চরাঞ্চলের প্রায় সব বাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানির কারণে সাপ, পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। গরু ছাগলের খাদ্য রাখার মতো শুকনো জায়গাটুকুও মিলছে না।

এদিকে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় সংযোগ তিস্তা সেতুর পশ্চিম পাশের সেতু রক্ষা ৯০০ মিটার বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার জায়গার ব্লক ধসে গিয়ে স্থানটিতে প্রায় ৭০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এতে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে লালমনিরহাট-রংপুর অঞ্চলের যোগাযোগ সড়কসহ ওই এলাকার প্রায় ১০০০ পরিবার। উজানের ঢলে নেমে আসা তীব্র স্রোত সরাসরি এসে আঘাত হানছে তিস্তা সড়ক সেতু রক্ষা বাঁধের গায়ে। এতে নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ধসে পরছে ব্লকগুলো।


তথ্যসূত্র:
১. আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি
– https://tinyurl.com/467ba63r

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ১৩ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট গড়ে তুলেছে আওয়ামীলীগ নেতা