
অবরুদ্ধ গাজায় বীরত্ব আর দৃঢ়তার ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে চলছেন আল-কাসসাম ব্রিগেডের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলি। অত্যাধুনিক সব অস্ত্র আর সাঁজোয়া যানে সজ্জিত আগ্রাসী জায়োনিস্ট বাহিনী ও পশ্চিমা জোটের বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ অঞ্চলটির ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকেই মুজাহিদিনরা সাহসীকতার সাথে প্রতিনিয়ত দুঃসাহসী সব অভিযান ও প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্ব মুসলিমদের সামনে গাজার অসম এই যুদ্ধে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ অভিযানের দৃশগুলো তুলে ধরতে, গত ১৭ আগস্ট রবিবার, আল-কাসসাম ব্রিগেড সাড়ে চর মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওটিতে সম্প্রতি গাজার খান ইউনিস শহর এবং সালাহউদ্দীন স্ট্রিপের দক্ষিণে দখলদার বাহিনী, শত্রুর যানবাহন এবং সেনা সমাবেশস্থল লক্ষ্য করে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানের দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়েছে।
ভিডিওটির ০০:২২ সময় শহিদ কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়, আমরা এখানে আমাদের প্রিয় ভূমিতে আছি, এই ভূমিতেই আমরা প্রোথিত, এখানে হাজার হাজার বীজ বপন করা হয়েছে। এই জমি যেভাবেই চাষ করা হোক না কেন, বীজ অঙ্কুরিত হবেই। আমাদের এই পথ চলা থেমে যাবে না বরং আমরা এই পথ ধরে চলতে থাকবো, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
ভিডিওর ০০:৩৯ মিনিটের সময় একজন আল-কাসসাম যোদ্ধাকে বলতে শুনা যায়, আমরা আল্লার সৈনিক, ওহে পশুরা আমরা তোমাদের থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে …আমি শত্রু D9 বুলডোজার দেখতে পাচ্ছি। এখানে, এখানে। এরপর এটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়
ভিডিওটির ০০:৫২ মিনিটের সময় সেন্ট্রাল খান ইউনিস সিটি আবু হামিদ গোলচত্বরে মুজাহিদদের দেখানো হয়। মুজাহিদিনরা এলাকাটিতে “আল-ইয়াসিন-105” এবং “ট্যান্ডেম-85” গোলা নিক্ষেপ করে জায়োনিস্ট বাহিনীর দুটি মারকাভা-4 ট্যাংককে সফলতার সাথে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন। এসময় মুজাহিদিনরা বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর ধ্বনি তুলতে থাকেন।
ভিডিওটির ০১:৩৪ মিনিটের সময় একজন আল-কাসসাম যোদ্ধাকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়, বক্তব্যের শুরুতেই তিনি “আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল” এই বাণী ঘোষণা করেন। এই মহাবিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের কপালে এই বাণী উত্থিত হওয়া সম্মানের বিষয়। আর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও ইসলামের জন্য আত্মোৎসর্গকারী গৌরবময় গাজার সন্তানরা আজ ইসলামের এই মহান পতাকাকে উত্তোলন করেছে। আর আমরা সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে নও। যারা আমাদের পরিত্যাগ করেছে, আল্লাহ যেন তাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং যারা গাজাকে একা ছেড়ে দিয়েছে, আল্লাহ যেন তাদেরকে ক্ষমা না করেন। সুতরাং আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম ব্যবস্থাপক।
এরপর ভিডিওর ০২:১৩ মিনিটের সময় মুজাহিদদেরকে উত্তর খান ইউনিস শহরের আল-খতিব মসজিদের আশপাশে দেখা যায়। এসময় মুজাহিদিনরা এলাকাটিতে জায়োনিস্ট বাহিনীর ২টি ট্যাংক নিয়ে গঠিত একটি কনভয়কে লক্ষ্য করে দুদিক থেকে শক্তিশালী হামলা চালান। এসময় মুজাহিদিনরা ৩টি আল-ইয়াসিন রকেট লঞ্চার ব্যবহার করেন।
এরপর ভিডিওর ০২:৪৫ থেকে মুজাহিদদেরকে দেখা যায়, শত্রুদের অবস্থান এবং কেন্দ্রস্থলগুলো লক্ষ্য করে বেশ কিছু এলাকায় হামলা চালাতে। এই হামলাগুলোতে মুজাহিদিনরা মর্টার শেল এবং “রাজূম” রকেট দিয়ে জায়োনিস্ট বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন। এসময় আল-কাসসাম ব্রিগেডের সাথে একাধিক এলাকায় যৌথ অভিযানে যুক্ত হন সারায়া আল-কুদস, আন-নাসের সালাউদ্দিন ব্রিগেডের যোদ্ধারাও।
ভিডিও দেখুন:
লিংক: https://archive.org/details/al-qassam-brigades-vs.-occupying-idf-battle-in-gaza


