
ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন আফগানিস্তানের শাসনের শুরুতে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও দেশটি এখন ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথ পুনঃস্থাপন করে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আফগানিস্তান বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করছে, এবং দেশটির বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের সরকারের সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে দেশটির বার্ষিক বাণিজ্য ছিল আনুমানিক ৭.৫ বিলিয়ন ডলার।
আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়ার শাসন শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো আফগানিস্তানের ব্যাংকিং খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং দেশটির বৈদেশিক সম্পদ জব্দ করে রাখে। এর ফলে দেশটির বাণিজ্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রধান বাণিজ্য রুটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতেও মাত্র তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আংশিকভাবে পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয় ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন।
বর্তমানে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক (ব্যবসায়িক) অংশীদার দেশগুলো হলো পাকিস্তান, ইরান, ভারত, চীন, রাশিয়া এবং উজবেকিস্তান। আফগান সরকার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে নতুন বাণিজ্য রুট সম্প্রসারণ ও বন্দরের আধুনিকায়নে কাজ করছে, যা দেশটির ব্যবসায়ীদের জন্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজতর করে তুলছে।
শুধু বাণিজ্য খাতেই নয়, শিল্পখাতেও দেশটি অগ্রগতি অর্জন করছে। ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসনের তথ্যমতে, গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানে ১,৫০০টিরও বেশি নতুন কারখানা চালু হয়েছে এবং আগামী এক বছরে আরও প্রায় ১,০০০ কারখানা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান থাকলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Afghanistan has been trading with more than 100 countries
– https://tinyurl.com/4f2bn33v


